পাতা:কমলাকান্ত - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
কমলাকান্তের দপ্তর।

মাতৃসন্ধানে আসিতেছি। কোথা মা! কই আমার মা? কোথায় কমলাকান্তপ্রসুতি বঙ্গভূমি! এ ঘোর কাল-সমুদ্রে কোথায় তুমি? সহসা স্বর্গীয় বাদ্যে কর্ণরন্ধ্র পরিপূর্ণ হইল— দিগ্মণ্ডলে প্রভাতারুণোদয়বৎ লোহিতোজ্জ্বল আলোক বিকীর্ণ হইল—স্নিগ্ধ মন্দ পবন বহিল— সেই তরঙ্গসঙ্কুল জলরাশির উপরে, দূরপ্রান্তে দেখিলাম—সুবর্ণমণ্ডিতা, এই সপ্তমীর শারদীয়া প্রতিমা! জলে, হাসিতেছে, ভাসিতেছে,আলোক বিকীর্ণ করিতেছে! এই কি মা? হাঁ, এই মা। চিনিলাম,এই আমার জননীজন্মভূমি—এই মৃন্ময়ী —মৃত্তিকারূপিণী—অনন্তরত্নভূষিতা—এক্ষণে কাল গর্ভে নিহিতা। রত্নমণ্ডিত দশভুজ—দশ দিক্ —দশ দিকে প্রসারিত; তাহাতে নানা আয়ুধরূপে নানা শক্তি শোভিত; পদতলে শক্র বিমর্দ্দিত, পদাশ্রিত বীরজন কেশরী শক্রনিষ্পীড়নে নিযুক্ত! এ মূর্ত্তি এখন দেখিব না —আজি দেখিব না, কাল দেখিব না-কালস্রোত পার না হইলে দেখিব না—কিন্তু এক দিন দেখিব—দিগভুজা, নানা প্রহরণপ্রহারিণী,