পাতা:কমলাকান্ত - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১২
কমলাকান্তের দপ্তর।

আজি গদার মাকে দেখ। বকাবকি করিতে করিতে চাল ঝাড়িতেছে—মলিনবসনা, বিকটদশনা, তীব্ররসনা—দীর্ঘাঙ্গী, কৃষ্ণাঙ্গী, কৃশাঙ্গী, লোলচর্ম্ম, পলিতকেশ, শুষ্কবাহু, কর্কশ-কণ্ঠ। এই সেই তরঙ্গিণী—আর অরণ্যের বাকি কি?

 তবে স্থির, বনে যাওয়া হবে না। তবে কি করিব—

শৈশবেঽভ্যস্তবিদ্যানাং
যৌবনে বিষয়ৈষিণাং।
বার্দ্ধকে মুনিবৃত্তিনাং
যোগেনান্তে তনুত্যজাম্‌॥

 সর্ব্বগুণবান রঘুগণের বার্দ্ধক্যের এই ব্যবস্থা কালিদাস করিয়াছেন। আমি নিশ্চিত বলিতে পারি—কালিদাস চল্লিশ পার হইয়া রঘুবংশ লিখেন নাই। তিনি যে রঘুবংশ যৌবনে লিখিয়াছিলেন, এবং কুমারসম্ভব চল্লিশ পার করিয়া লিখিয়াছিলেন, তাহা আমি দুইটি কবিতা উদ্ধার করিয়া দেখাইতেছি—

 প্রথম অজবিলাপে,

“ইদমুচ্ছ্বসিতালকং মুখং
তববিশ্রান্তকথং দুনোতি মাং।