পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

କ୯୬ করিম সেখ সে অম্বরের কাছে গেল এবং সমস্ত কথা তাহাকে জানাইয়া বলিল “অধর, চল, সেই পাগলাকে নিয়ে আসতে হবে। করিম আমার ষাই করুক না কেন, আহা সে যে পাগল হয়েছে; সে যে পথে পথে বেড়াচ্ছে। চল, তাকে ঘরে নিয়ে আসি।” অধর সম্মত হইল। কাহাকেও কোন কথা না বলিয়া তাহারা দুইজনে নদীর তীর ধরিয়া চলিল। কিছু দূর যাইয়াই দেখে করিম নদীর তীরে কি খুজিয়া বেড়াইতেছে। তাহার অবস্থা দেখিয়া বসিরেস পৃণি গলিয়া গেল। সে দৌড়িয়া করিমের নিকট উপস্থিত হইয়৷ ডাকিল “করিম!” করিমও তখন চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিল “করিম।” তাহার পরই ফিরিয়া চাহিয়া দেখে বসির তাহার সম্মুখে দাড়াইয়া আছে। করিম তখন এক দৃষ্টিতে বসিরকে দেখিতে লাগিল ; তাহার চাহনি দেখিয়া অধরের ভয় হইতে লাগিল। বসির ডাকিল “করিম!” করিম চমকিয়া উঠিল, তাহার পর একটা ভীষণ চীৎকার করিয়া সে অচেতন হইয়া পড়িয়া গেল। অনেক কষ্টে তাহার চৈতন্য সম্পাদনা করিয়া অধর ও বসির তাহাকে বাড়ী লইয়া আসিল । বসিরের স্ত্রী করিমের এই অবস্থা দেখিয়া পূর্বের কথা সমস্তই ভুলিয়া গেল। তখন স্বামী স্ত্রীতে মিলিয়া করিমের গা হাত পা ধোয়াইয়া দিল ; করিম চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। বসির ও তাহার স্ত্রীর একটা কাজ বাড়িল-এই পাগলের সেবা করা। পাগল খাইতে চায় না, স্নান করিতে চায় না, কোথায় যাইবার চেষ্টা করে না, শুধু চুপ করিয়া বসিয়া থাকে। বসিরের স্ত্রী তাহাকে প্ৰত্যহ স্নান করাইয়া দেয়, নিজের হাতে ভাহাকে