পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ করিম সেখ বসির মনে মনে এ সকল পছন্দ না করিলেও মুখ ফুটিয়া নিষেধ করে নাই। কিন্তু আজ করিম বৌকে গোপনে টাকা দিতে চায়, টাকার কথা কাহাকেও বলিতে নিষেধ করে, ইহা বৌয়ের শুধু যে ভাল লাগিল না, তাহা নহে; তাহার মনে ঘূণার উদয় হইল। করিম কি তাহাকে পয়সা দিয়া কিনিতে চায় ? কেন সে করিমের দেওয়া টাকা লাইবে ? আর টাকা। যদি দিতেই হয়, তাহাদের দুরবস্থা দেখিয়া যদি সে সাহায্য করিতেই চায়, তবে তাহার হাতে টাকা দিতে আসে। কেন ? সে তাহার শাশুড়ী বা স্বামীর হাতে ত টাকা দিতে পারে। সে চাষার মেয়ে বটে, সে দরিদ্র মুসলমানের স্ত্রী বটে, কিন্তু তাহার কি মান ইজ্জত নাই ? সে কেন টাকা লইতে। যাইবে ? ক্ষণেকের মধ্যেই সে এত কথা ভাবিয়া ফেলিল ; তাহার চক্ষু হইতে যেন আগুনের কণা ছুটয়া বাহির হইতে লাগিল। তাহাকে চুপ করিয়া থাকিতে দেখিয়া করিম বলিল “বীে, কথা বলছি না যে ?” বছিরের স্ত্রী তখন আহত ফণিনীর মত গর্জন করিয়া বলিল “করিম ভাই, তুমি আমাকে কি মনে কর ? তুমি । আমার কে, যে তোমার টাকা আমি নেব ? আমাকে টাকা দিবার তোমার দরকারই বা কি ? আমি গরিবের বৌ বটে, কিন্তু তাই ব’লে তোমার টাকা আমি নিতে পারি না । টাকা দিতে হয় তোমার মিতেকে বা তার মাকে দিও। নিতে হয় তঁরা নেবেন । আমি তোমার টাকা চাইনে। তোমাকে বলে দিচ্ছি, মাথার উপর আল্লা আছেন। আজ থেকে