পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিম সেখ ১৩, কোন জিনিস আমায় দিতে এস না । তোমার দেওয়া জিনিস আমার কাছে হারাম।” সে আর কথা বলিতে পারিল না, রাগে অধীর হইয়া দীপ্ত বিদ্যুৎশিখার ন্যায় ঘরের মধ্যে চলিয়া গেল। করিমও তাঁহাকে আর কিছু বলিবার অবকাশ পাইল না ; শুধু সে এক দৃষ্টিতে ঘরের দিকে চাহিয়া রহিল ; তাহার পর ধীরে ধীরে চিন্তাক্লিষ্ট হৃদয়ে সে বাড়ীর বাহির হইয়া গেল । ইহার একটু পরেই বসির বাটীতে আসিল। তখনই তাহাদের যাত্ৰা করিতে হইবে সুতরাং বসির সেই আয়োজনে ব্যন্ত হইল। তাহার স্ত্রী উল্লিখিত ঘটনার কথা স্বামীকে বলিবার সুযোগ পাইল না । এক একবার তাহার মনে হইতে লাগিল স্বামীকে ডাকিয়া সমস্ত কথা বলে এবং তাহাকে করিমের সহিত ধান কাটিতে যাইতে নিষেধ করে; কিন্তু সে সুযোগ সে মােটেই পাইল না। একটু পরেই করিম আসিলে তাহারা দুইজনে বসিরের মাতাকে প্ৰণাম করিয়া তাহার আশীৰ্বাদ গ্ৰহণ করিয়া যাত্ৰা করিল। ( ( ) তিন দিন পরে তাহাদের নৌকা কাউখালির নিকটে পৌছিল। সেদিন করিম একটু সকাল সকাল নীেক লািগইবার কথা বলিল। ১ বসির বলিল “করিম ভাই, এখনও বেলা আছে, আর একটু এগিয়ে চল। ঐ ত কাউখালির বন্দর দেখা যাচ্ছে, আর একটু গেলেই ওখানে পৌছিব।।