পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিম সেখ y গল্প আরম্ভ করিল। বসির বলিল, “করিম ভাই, আজ আমার প্ৰাণটা যেন কেমন করছে, এ কয়দিন বাড়ীর কথা মনে হোয়েছে, কিন্তু আজকার মত নয়। আজ সারাদিন থেকে থেকে শুধু বাড়ীর কথাই মনে হচ্চে, বুকের ভেতর কেমন কোরছে ; মনে হচ্চে আর বুঝি বাড়ী যেতে পারব না, আর হয় ত মাকে দেখতে পাব না । প্ৰাণটা যেন থেকে থেকে কেমন হয়ে যাচ্ছে!” 叠 বসিরের কথা শুনিয়া সেই অন্ধকারের মধ্যে করিমের শরীর শিহরিয়া উঠিল। সে কি ভাবিল বলিতে পারি না। একটু চুপ ? করিয়া থাকিয়া সে বলিল “বসির ভাই, বাড়ী ছেড়ে আসলে প্রথম প্রথম সকলেরই আমন হয়। তুমি কোন দিন বাড়ী ছাড়া হও নাই, বাড়ীতে যাওয়ার জন্য মন অমন কোরাতেই পারে। তা কি কোরবে ভাই, যদি বাড়ীতে থাকুলে দিনপাত হােত, তা হলে কি আর এই বিদেশে জঙ্গলের মধ্যে আসি। কিছু ভেবো না, দেখতে দেখতে মাস কেটে যাবে; তার পরই বাড়ী যাব।” বসির কোন কথা বলিল না, কিন্তু কি জানি কেন, থাকিয়া থাকিয় তাহার প্রাণ র্কাদিয়া উঠিতে লাগিল ; তাহার মনে হইতে লাগিল, আর বুঝি সে বাড়ী যাইতে পাইবে না, আজই যেন তার জীবনের শেষ দিন। তাহার বুকের মধ্যে কেমন করিতে লাগিল । বসিরকে চুপ করিয়া থাকিতে দেখিয়া করিম বলিল, “বাঁসির ভাই, চুপ কোরে রইলে যে। রাত হলো, আমিই ভাত্ত বেড়ে দিই। এস, আজ সকালে সকালেই দুইজনে ঘুমাই, আবার শেষ । রাত্রিতেই উঠতে হবে।”