পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিম সেখ 之宁 পরদিন যখন করিম আসিয়া তাহদের কি কি দ্রব্যের প্রয়োজন জিজ্ঞাসা করিল, তখন বুড়ী বলিল, “বাবা করিম, ঘরে যা চা’ল ডা’ল আছে তাতেই আমাদের কয়েকদিন চ’লে যাবে। আর আমার হাতেও কিছু আছে, তা দিয়েই এখন খরচ চলবে। তারপর যখন দরকার হবে তখন তোমার কাছে ছাড়া আর কার কাছে চাইব, তুমি ছাড়া আমাদের আর কে আছে ? তুমি আমার পেটের সন্তানের মত, আমার বসিরও যা ছিল—তুমিও তাই। দেখ বাবা, যেন আমরা না খেয়ে মারা না। যাই। তবে একটা কথা তোমাকে না ব’লে থাকতে পারছি না। তুমি মনে কিছু কোরো না। আমার বৌটার মাথার ঠিক নেই। আহা ! যে শোক পেয়েছে তাতে আমন সকলেরই হয়। কা’ল বীে বলছিল যে, তুমি কিছু দিলে সে নেবে না। তার হয় ত মনে হয়েছে যে, তোমার পরামর্শ শুনেই বসির বাদায় গেল, আর বিদেশে মারা গেল। তাতেই তোমার উপর তার কেমন একটা মনের ভাব, হয়েছে । হাজারও হোক, এখনও ত বয়স হয় নাই, বুদ্ধিও পাকে নাই ; তারপর হঠাৎ এই শোকটা পেয়েছে। তাঁ, তুমি কিছু মনে কোর না বাবা ! তুমিই আমার এখন বল ভরসা, তোমার কাছে না নিলে কি ভিক্ষা করে খাব ? আমি বোঁকে বলব যে, আমার হাতে কিছু আছে তাই দিয়ে সংসাের চলে যাবে ; তুমি যে দিচ্ছ তা আর তাকে বলব না। তারপর দিন কয়েক গেলেই তার শোক অনেকটা কমে । আসবে, তখন সে সব কথা বুঝতে পারবে ; তখন আর সে অমত ক’রতে পারবে না। বাবা, আমার এ কথায় কিছু মনে ক’রে না। তোমার কাছে ত আর কিছু লুকোবার নাই।” করিম বুড়ীর কথা শুনিয়া সমস্তই বুঝিতে পারিল। সে মনে