পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 咀 করিম সেখ মাথায় মুখে জল ঢালা হইল ; কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। পাড়ার মাতব্বর ব্যক্তিরা বলিলেন যে, ছেলের উপর পরীর দৃষ্টি হইয়াছে । ভাল ওস্তাদ ব্যতীত আর কেহ করিমকে প্ৰকৃতিস্থ করিতে পরিবে না। করিমের পিতা তখন ওস্তাদ আনিবার জন্য ছুটিল। তাহদের গ্রাম হইতে তিনক্রোশ দূরে রহমতগঞ্জে একজন ওস্তাদ ছিল। পাচটাকা কবুল করিয়া করিমের পিতা তাহাকে লইয়া আসিল। ওস্তাদ রোগীকে দেখিয়া বলিল “খুব শক্ত পরীতে । ইহার নাগাল পাইয়াছে। জবর দাওয়াই না হইলে এ পরী ছাড়িবে না।” এই ৰলিয়া সেই ওস্তাদ একঘটি জল লইয়া অবোধ্য ভাষায় মন্ত্র পাঠ করিয়া সেই ঘাঁটির জলে ফু দিতে লাগিল । প্রায় দশমিনিট মন্ত্র পাঠ ও ফু দিবার পর সেই জল করিমের মাথায় ঢালিয়া দিতে লাগিল । জল ঢালিবার অব্যবহিত পরেই করিমের জ্ঞানসঞ্চার হইল। সে পাশ ফিরিয়া শয়ন করিল ; তাহার পরেই চক্ষু মেলিল, কিন্তু সে দৃষ্টি লক্ষ্যশূন্য। ওস্তাদের কেরামত দেখিয়া সকলেই ধন্য ধন্য করিতে লাগিল । ওস্তাদ তখন গম্ভীর স্বরে বলিল “কেমন শক্ত পরী তুমি, আজ তার বোঝাপড়া করছি। আমার নাম মনিরন্দী গুণীন। তোমার মত কত পরীকে আমি সাত ঘাটের পাণি খাইয়েছি। আজ তোমারই একদিন আর আমারই একদিন।” এই বলিয়া ওস্তাদজি করিমের দুই হাত ধরিয়া টানিয়া তাহাকে বসাইল। করিম চুপ করিয়া বসিয়া রহিল ; কোন কথাই বলিল না । ওস্তাদ তখন আবার মন্ত্রপাঠ আরম্ভ করিল। এবং মধ্যে মধ্যে চীৎকার করিয়া বলিতে লাগিল “এখনই যা বলছি”, “এখনও গেলি না।” “দাঁড়া ত তোর নাক কেটে দিচ্চি।”