পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8鹉 করিম সেখ খাওয়াইয়া দিলে খায়, নতুবা বসিয়াই থাকে। তবে সে থাকিয়া থাকিয়া এক একবার চমকিয়া উঠে, আর বলে “করিম !” তখন সকলেই বুঝিল যে, এ ধন্দ পরী করিমকে শীঘ্ৰ । ছাড়িয়া যাইবে না। এমন ষোয়ান ছেলেটা একেবারে কাজের বাহির হইয়া গেল দেখিয়া সকলেই বিশেষ দুঃখিত হইল। কেন যে এমন হইল। তাহ কেহই জানিতে পারিল না ; বসিরের বাড়ীতে যে ঘটনা হইয়াছিল, তাহা সে বাড়ীর কেহই প্ৰকাশ । कशिश न । । SS বসিরের স্ত্রীর যে সামান্য দুইচারিখানি রূপার অলঙ্কার ছিল একে একে তাহা বিক্রয় করিয়া কয়েকমাস তাহদের সংসার চলিল। কিন্তু সে কয়টি টাকা যখন ফুরাইয়া গেল। তখন কি করিয়া ংসার চলিবে এই ভাবনাই প্ৰবল হইল । বসিরের মাত ক্ৰমাগত বীেকে গঞ্জনা দিতে আরম্ভ করিল । বুড়ী বড় আশা করিয়াছিল যে, করিম বসিরের স্ত্রীকে । নিকা করিয়া তাহদের সংসারের ভার গ্ৰহণ করিবে; তাহা হইলে তাহাজের আর অন্নচিন্তা থাকিবে না ; এক প্ৰকার সুখ। স্বচ্ছন্দেই সংসার চলিয়া যাইবে। কিন্তু বৌয়ের বুদ্ধির দোষেই তাহাদের এই দুরবস্থা হইল। বুড়ী যখন তখনই এই কথা । বলিতে আরম্ভ করিল। বসিরের স্ত্রী প্রথম প্রথম এ কথার ; কোন উত্তর দিত না। কিন্তু শেষে যখন তাহার অসহ্য হইল তখন সে একদিন বলিল, “মা আমারই দোষে এই কষ্ট হইতেছে।