ᏩᎨ করিম সেখ তখন বসিরের হাত ধরিয়া নাড়ী দেখিতে লাগিলেন। একটু পরেই তিনি বলিলেন “নাড়ী বড় দুর্বল, কিন্তু জ্বরের মত ত দেখছি না।” তাহার কথা শেষ হইতে না হইতেই অধর এক ঘটি জল লইয়া সেখানে উপস্থিত হইল, রামমোহন মাঝিও সেখানে আসিল । বাবু নিজেই ঘটি লইয়া বসিরের মুখে প্ৰথমে একটু জল দিলেন। জল তাহার ওষ্ঠ বহিয়া পড়িয়া গেল। বাবু তখন অধরকে বলিলেন “অধরা, ঘাঁটিটা ধরত, আমি ওর মুখ ফাঁক কোরে ধরি, তুই । মুখের মধ্যে জল ঢেলে দিবি। বেশী জল দিসনে, গিলতে পারবে না ।” এই বলিয়া তিনি বসিরের মুখ ফাঁক করিয়া ধরিলেন, অধর একটু একটু করিয়া জল ঢালিয়া দিতে লাগিল। বসির জল খাইতে লাগিল। প্ৰায় আধা ঘটি জল খাইয়া বসির মাথা নাড়িল । বাবু বলিলেন “আর জল দিসনে।” তখন বাবু বলিলেন “অধরা, লোকটাকে তুলে বসাতে পারিস?” ফটিক বলিল “না। বাবু, কি ব্যামো হয়েছে তার ঠিক নেই, অন্ত ছোঁয়াছতে কাজ নেই।” বাবু সে কথা শুনিলেন না ; তিনি লোকটাকে তুলিয়া বসাইতে বলিলেন। অধর বসিরকে তুলিয়া বসাইল। ২১ এতক্ষণে বসিরের কথা বলিবার শক্তি ফিরিয়া আসিল । সে অতি ক্ষীণস্বরে বলিল “আল্লা, বাচালে!” ফটিক বলিল “বাবু, মানুষটা মুসলমান।” বাবু বুলিলেন, “হোক মুসলমান । তোরা ওকে ধ’রে নৌকোয় নিয়ে চল। ওকে কাছারীতে নিয়ে যাই।” * rii ফটিক ইতস্ততঃ করিতে লাগিল; সে হিন্দুর ছেলে, মুসলমানকে কোলের মধ্যে করিয়া নৌকায় লইয়া যাইতে তাহার মন
পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।