পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিম সেখ GSY চাহিতেছিল না! অধর বলিল “ধর না মামা ! বড় মামা, তুমিও ধর না । তিন জনে ‘হাতা-সিন’ ক’রে ওকে নৌকোয় নিয়ে যাই।” ফটিক ও রামমোহন কি করে, বাবুর দিকে একবার বিরক্তিপূর্ণ দৃষ্টিতে চাহিয়া তাহারা তিনজনে বসিরকে তুলিল। বাবু বলিলেন “দেখিস, সাবধান, ওরা যেন কষ্ট না হয়।” তিনজনে ধরাধরি করিয়া বসিরকে নৌকায় তুলিয়া লাইল। বাবুটী নৌকায় উঠিয়া একখানি কাপড় বাহির করিয়া বলিলেন “অধরা, এই কাপড়খানা ওকে পরিয়ে দিয়ে ওর ময়লা কাপড় জলে ফেলে দে, আর ওর গায়ের কাদামাট ধুইয়ে দে।” ফটিক কি রামমোহন এমন কাৰ্য্য কিছুতেই করিত না,-নায়েব বাবু বলিলেও না। কিন্তু অধর নবীন যুবক, সে এখনও ততটা স্বার্থপর হয় নাই, এখনও পরের দুঃখ কষ্ট দেখিলে তাহার। প্ৰাণে ব্যথা লাগে । কাজেই সে দ্বিরুক্তি না করিয়া বসিরের কাপড়ের এক অণু জলে ডিজাইয়া লইয়া তাহার গা হাত পা মুছাইয়া দিল ; তাহার পর বাবুর দেওয়া কাপড়খানি তাহাকে পরাইয়া দিতে গেল। বসির “উ হু” বলিয়া আপত্তি জানাইল এবং ডান হাত দিয়া নিজের সেই কাদামাখা কাপড়খানি চাপিয়া ধরিল । অধর বলিল “না, না, ও কাপড়খানা ছেড়ে ফেলতে হবে। ওখানা যে কাদায় মাখা হোয়েছে।” এই বলিয়া অধর তাহাকে কাপড় পরাইতে গেল। বদির তখন গায়ে একটু বল পাইয়াছিল, সে এই কাপড়পরা ব্যাপারে নিজেও একটু সাহায্য করিল। তখন বাবুটী বলিলেন “ও গো, কিছু খাবে ? ক্ষিদে পেয়েছে ?” বসির অনুচ্চস্বরে বলিল “আজ দুই দিন কিছুই খাইনে।” বাবু বলিলেন “তোমার নাম কি ?”