পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিম সেখ Ned ডাক্তার বাবু বলিলেন, “তাই ত, তুমি এই তিন ক্রেটিশ পথ কেঁটে এলে, আবার এখন যাবে? তার পর একটু গেলেই ত সন্ধ্যা হয়ে আসবে। পথে যে জঙ্গল, আর যে বাঘের ভয় । তাই তি কি করা যায় ?” অধর বলিল “সে জন্য ভয় নেই বাবু, আপনি চলে যান, আমি আপনার পিছেপিছেই যাচ্ছি। আমি বাঘ দেখে ডরাই নে!” 国 ডাক্তার বাবু তখন ঘোড়ায় চড়িয়া গোকুলপুর রওনা হইলেন। অধর একটা দোকান হইতে তিন পয়সার চিড়ে মুড়কী কিনিয়া লাইল ; তাহার পর ঔষধের বাক্স মাথায় করিয়া কেঁচড়ের ছিড়ে মুড়কী খাইতে খাইতে দ্রুতবেগে চলিতে লাগিল । r ক্রোশখানেক যাইতে না যাইতেই সন্ধ্যা হইয়া : আসিল । হুই পার্শ্বে জঙ্গল, মধ্য দিয়া পথ। জঙ্গলের মধ্যে একটু শব্দ তইলেই অধর থমকিয়া দাড়ায় ; পথে জনমানবের সম্পর্ক নাই। অধরের মনে ভয়ের সঞ্চার হইল। পরীক্ষণেই আবার তাহার হৃদয়ে সাহস আসিল । সে বলিয়া উঠিল “আরে, যায় যাবে প্ৰাণ, একবার বই ত দুইবার মরব না।” নিজের মুখের কথায় নিজেকে । উৎসাহিত করিয়া অধর চলিতে লাগিল । ক্রমেই অন্ধকার ঘনীভূত হইতে লাগিল। অধর তখন ভাল করিয়া পথ দেখিতে পাইতেছে না। জঙ্গলের মধ্যে অসংখ্য বিঝিপোকা ডাকিতেছে, গাছে গাছে খন্থোৎ মিষ্ট্র মিষ্ট্ৰ করিতেছে। অধর তখন গান আরম্ভ করিয়া দিল। একাকী অন্ধকার রাত্রিতে পথ চলিবার সময় যখন মনে ভয়ের সঞ্চায় হয়, তখন অনেকেই গান করিয়া থাকে। অধিরও গান ধরিল- ,