পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিম সেখ t হইতেছে না। অন্য দিন সে শয়ন করিবামাত্র ঘুমাইয়া পড়ে, আজ অনেক চেষ্টা করিয়াও সে ঘুমাইতে পারিতেছে না। কিছুক্ষণ সে এপাশ ও পাশ করিতে করিতে ক্ৰমে তাহার। তন্দ্ৰাকর্ষণ হইল । * তখন সে এক ভয়ানক স্বপ্ন দেখিল। সে দেখিল, রজনীর অন্ধকারে একব্যক্তি একখানি দা হাতে লইয়া একখানি পৰ্ণ- “ কুটীরে প্রবেশ করিল। কুটীরে ভূমিশয্যায় একটি রমণী নিদ্রামগ্ন । তাহার পার্শ্বে একটি শিশু অঘোরে ঘুমাইতেছে। লোকটীকে “দেখিয়া রমণী তাড়াতাড়ি যেমন উঠিতে যাইতেছিল অমনি পাষণ্ড তাহার কেশ আকর্ষণ করিল। তাহার পর দাখানি তুলিয়া ধরিয়া বলিল “শয়তানি! এখন তোর কোন বাবা রক্ষা করে। আজ তোরই একদিন কি আমারই একদিন ! বল, আমাকে নিকা করবি কি না ? আজি তোর সর্বনাশ না ক’রে আমি যাচ্ছি না।” তন্দ্ৰাঘোরে দিব্যচক্ষে বসির এই ঘটনা দেখিল । অকস্মাৎ তাহার স্মৃতির কপাট যেন মুক্ত হইল ; शदनिका मन्नि গেল ; পূর্বের সমস্ত ঘটনা তখনই স্মৃতিপটে জাগিয়া উঠিল। সে তখন শুনিতে পাইল, তাহার অসহায়া স্ত্রী বলিতেছে, “আল্লা, তুমি কোথায় ?” নিদ্রাঘোরে বসির যেন তখনই সেই দ্বারের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া । ‘গম্ভীরস্বরে বলিল “করিম।” i বসির স্বপ্নে মনে করিয়াছিল যে, সে গৰ্ত্তীরস্বরে কথাটা বলিয়াছিল ; কিন্তু তাহা নহে, সে “করিম” এই কথাটা এমন উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করিয়া বলিয়াছিল যে, কাছারী ঘরের মধ্যে যাহারা ছিল সকলেই তাহ শুনিতে পাইয়াছিল। তখন তাহারা “কি হইয়াছে, কি হইল”। বলিয়া ছুটয়া বাহির হইয়া আসিল। ঐ চীৎকারের “পর বসিরের নিদ্রা ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল। সে তখন বিছানায়