পাতা:কর্ণানন্দ.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や、り কর্ণানন্দ । হইয়। ভাবিতে লাগিলা সবে অধোমুখ হইয়া । নানা যত্ন করে সবে না হয় চেতন । ধ্যানভঙ্গ নহে দেখি উড়িল জীবন ॥ তৃতীয় প্রহর রাত্রি গেল যে বহিয়া । হায় হtয় করে কত বিলাপ করিয়া । হায় নিদারুণ বিধি কি করিলে তুমি । বুকে করাঘাত করে লোটাইয়া ভূমি। এত দিনে বিধি মোরে হইলা নিদারুণ । হায় হায় করি কত করয়ে ক্ৰন্দন ॥ তবে প্ৰভু ভক্তগণে একত্র হইয়া । কহিতে লাগিল সবে মহাব্যগ্র হইয় ॥ শুন শুন ঠাকুরাণি ! স্থির কর চিত। প্ৰভু মোর ভাবে মগ্ন পাইব সম্বিত ॥ কিছু স্থির হৈলা দুহে বিষাদ সম্বরি। প্রভুর কাছে বসিলেন কিছু ধৈর্য্য ধরি ॥ একত্র হইয়া সবে মনে ত ভাবয় । কোন প্রকারেতে প্রভুর ধ্যান ভঙ্গ নয় ॥ এই মতে রাত্রি গেল দিবস প্রবেশ ॥ ধ্যান ভঙ্গ করিতে চিন্তা পাইল অশেষ ॥ রাজা আদি করি যত প্রভু ভক্তগণ । দুঃখিত চিত্ত হইয়া সবে করেন ভাবন ॥ এইমতে কত চিন্তা করিতে লাগিলা। তৃতীয় প্রহর দিব প্রবেশ করিলা ॥ তবু ত না হয় চেষ্টা বিষাদ-অন্তর। অনিষ্ট আশঙ্কা মনে সদা নিরন্তর ॥ হয় হায় কি করিব কোথাকারে যাব । এমন গুণের নিধি কোথা গেলে পাব ॥ অন্তরে ব্যথিত সবে করেন বিষাদ । বিধি নিদারুণ বুঝি পড়িল প্রমাদ। এই মতে সেই দিন গেল যে বহিয়া । তৃতীয় দিবস এবে প্রবেশিলাসিয় ॥ উঠিল ক্ৰন্দনধ্বনি অতি উচ্চতর। আছাড় খাইয় পড়ে ভূমির উপর ॥ সম্বরিয়া ঠাকুরাণী ধৈর্য্য করি মনে । নাপা তুলা আরোপিয়া করে নিরীক্ষণে ॥ তুল। নাছি চলে নাসায় দেখিল যখন। কেশ ছিড়ি আছাড় খাই পড়িল তখন ॥