পাতা:কর্ণানন্দ.djvu/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/yه গোয়াস, ইস্লামপুর, দেউলগ্রাম, ও সোনারণি প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন গ্রামে বিস্তৃত হইয়া বাস করিতেছেন। গ্রন্থকর্তী জীযদুননান দাস ইনি নিজের পরিচয় এই কর্ণানন্ম গ্রন্থের দ্বিতীয় নির্যালের মধ্যস্থলে যাহা লিখিয়াছেন, তদ্ভিন্ন আর কিছুই জানিতে পারি নাই। ইনি মুর্শিদাবাদের অন্তর্গত ১২ । ১৩। ক্রোশ দক্ষিণে কাটোয়া নগরের উত্তরাংশে শ্ৰীশ্ৰীভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত মালিহাট ৫ (মেলেট ) নামক গ্রামে বাস করিতেন এবং ইনি জাতিত্তে বৈদ্য ছিলেন এবং আচার্ধ্য প্রভুর কন্স প্রমতী হেমলতাঠাকুরাণীর ভ্রাতুষ্পুত্র ও শিষ্য শ্ৰীমুবলচন্দ্র ঠাকুর মহাশয়ের শিষ্য, যথা— — “ঐসবলচন্দ্র ঠাকুর সদানন্দমর। ভ্রাতুষ্পুত্র হয় তার শিষ্য মহাশয় ॥ দীন যুগুনপান বৈদ্য দাস নাম তার। মালিহাটী গ্রামে স্থিতি প্রেমহীন ছার ॥ দেবকীভাল কছু লেব না করিল। তথাপি র্তাহীর গুণে সে পদ ধরিল ॥” যজুলনানদাস বৈদ্য হইলেও “বর্ননাল ঠাকুর” এই বলিরা সৰ্ব্বত্র বিখ্যাত । ইনি এই কর্ণানন্ম ১৫২৯ শকাব্দে বৈশাখমাসের পূর্ণিমায় খাগড়ার নিকট শ্ৰীশ্ৰীভাগীরথীর পশ্চিমতীয়ে অবস্থিত বুধাইপাড়া গ্রামে (শ্ৰীহেমলগুtঠাকুরাণীর পাটে) এই গ্রন্থ সমাপ্ত করেন। অনুমান করি,এই গ্রন্থ “শাখাযর্ণন” বা “শাখাপ্রকাশ" প্রভৃত্তি নামে অভিহিত হওয়া উঠি ছিল কিন্তু, এই গ্রন্থের লেখা শেষ করিয়৷ শ্ৰীমতী হেমলতাঠাকুরাণীকে শ্রবণ করান হয়, উক্ত ঠাকুরাণী এই গ্রন্থ শ্রবণ করিয়া কর্ণে সমধিক আনন্দ লাভ করত নিজমুখেই এই গ্রন্থের "কর্ণাননা” নাম প্রদান করেন। 4

  • মলিছাটা খ্ৰীনিবাসাচার্য বংশীয়দের একটা পাট। রাজশাহীর অস্তগত পুঠিয়ার পূৰ্ব্বতন রাজা রবীন্দ্রনারায়ণ ঐ পাটের দুইটি বৈষ্ণবের নিকট শাস্ত্রীয়বিচারে পরাস্ত হইয়। উক্ত বৈষ্ণৰ সমীপে পূৰ্ব্বঙ্কত নিজাপরাধ ক্ষমাপণ করষ্ঠ মালিছাটার ঠাকুরের নিকট শিষ্য হন। (ইতি ভক্তমাণ ) {