পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০২
কলিকাতার ইতিহাস।

হতি পায় নাই। এই সময়ে গ্রাণ্ট সাহেব অগ্রসর হইয়া ১০,০০০ টাকা প্রদান করিয়া গির্জাটী রক্ষা করেন। ১৭৮৭ সালে এই গির্জা ও স্কুল সাধারণের সম্পত্তি হইয়া পড়ে এবং উহাদের কর্তৃত্ব তিন জন ট্রষ্টির হস্তে অর্পিত হয়। কীর্ণ্যাণ্ডার ১৭৯৯ সালে কালগ্রাসে পতিত হন। সুইডেনের অন্তঃপাতী আকৃষ্টাণ্ড নামক স্থানে ১৭১১ খৃষ্টাব্দের ২১শে নবেম্বর তারিখে তিনি জন্মগ্রহণ করিয়া ছিলেন। তিনি তাঁঁহার সজাতীয় পর্ত্তুগীজদিগের উপকারসাধনের চেষ্টায় যে সদাশয় প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন, তজ্জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবেন। তাহার গির্জাকে সাধারণ লোকে ‘লালগির্জা' বলিত। তাঁহার স্কুলে পর্ত্তুগীজ ও ইংরেজী—এই উভয় ভাষাই শিক্ষা দেওয়া হইত। আর্ম্মানী ও বাঙ্গালী, বালকেরাও তাঁহার বিদ্যালয়ে পড়িতে পাইত। তাঁহার বড় আশা ছিল যে, তাঁহার হিন্দু ছাত্রেরা খৃষ্টধর্মাবলম্বী হইবে, কিন্তু সে আশায় তাহাকে যারপর নাই বিড়ম্বিত হইতে হইয়াছিল।

 কলিকাতায় সকলেই অবাধে আপন আপন ধর্ম্মবিশ্বাস অনুসারে চলিতে পারে। কোন্ সময়ে প্রথম খৃষ্টান গির্জ্জা নির্মিত হইয়াছিল, তাহা নির্ণয় করিতে পারা যায় না। আগ্রা নগরে ১৬০০ খৃষ্টাব্দে সম্রাট আকবরের অনুমতিক্রমে নির্মিত একটী গির্জা ছিল। কাপ্তেন হ্যামিল্টন ১৬৮৮ হইতে ১৭২৩ সাল পর্য্যন্ত এদেশে ছিলেন। তিনি ১৭২৭ সালে তাঁহার যে ভ্রমণ বৃত্তান্ত প্রকাশিত করেন, তাহার এক স্থলে লিখিয়াছেন—“ফোর্ট উইলিয়ম হইতে প্রায় ৫০ গজ দূরে একটী গির্জা দণ্ডায়মান; কলিকাতাবাসী বণিকদিগের বদান্যতায় এবং যে সকল সমুদ্রগামী লোক কার্যবশতঃ তথায় বাণিজ্য করিতে যায়, তাহাদের দানশীলতায় উহা নির্ম্মিত; পরন্তু