পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৬
কলিকাতার ইতিহাস ।

সালেও আর্ম্মানীদিগের ভজনালয় ছিল। ১৭২০ সালে ফানুস নামক একজন আর্ম্মান গির্জ্জার জন্য একখণ্ড ভূমি ক্রয় করেন। তৎপরে ১৭২৪ অকে আগানাজার সেই ভূমি গ্রহণ করেন, এবং সাধারণের চাঁদায় সেণ্ট নাজারেথ নামে আর একটী আর্ম্মানি গির্জ্জা নির্মিত হয়। এইরূপ একটি গল্প প্রচলিত আছে যে, প্রসিদ্ধ কুঠিযাল উমিচাঁদের শ্যালক ও একজিকিউটার হুজুরি মল সেণ্ট জারেখ গির্জ্জার একটী চূড়া নির্মাণের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করিয়াছিলন। এতদ্ভিন্তু এই সহরে চীনামান, ইহুদী, পাসী, গ্রীক ও অন্যান্য জাতিরও উপাসনা-মন্দির আছে।

 কলিকাতা সহরে, টালিগঞ্জে এবং চিৎপুরে তিন স্থানেই মুসলমানদিগের বহু মসজিদ আছে; ইহাদের সংখ্যা ৪৮৬ হইবে, তম্মধ্যে ৩৭৬ টি সুন্নি সম্প্রদায়ের এবং ১১০টি শিয়া সম্প্রদাদের। এই সমস্ত মজিদের মধ্যে পশ্চাল্লিখিত কয়েকটি সবিশেষ প্রসিদ্ধ:—

 ১। সিন্দুরিয়াপটি মসজিদ ১৮ নং লোয়ার চিৎপুর রোড; ইহার স্থাপয়িতা হাফিজ সমরুদ্দিন সাহেব। ইহার বর্তমান অধিকারী হাফিজ আবদুল আজিজ, ইহার সহিত একটি বাসভবন সংলগ্ন আছে; তথায় দরিদ্র মুসলমান ছাত্রেরা দিন ব্যয়ে বাসস্থান ও আহার্য পাইয়া থাকে।

 ২। হাজি জাকারিয়া মহম্মদের মসজিদ লোয়ার চিৎপুর রোডে; ইহার প্রতিষ্ঠাতা হাজি জাকারিয়া মহম্মদ। ইহার বর্তমান অধিকারীর নাম হাজি নুর মহম্মদ জাকারিয়া। এই মসজিদে বহু সংখ্যক ছাত্র বিনা ব্যয়ে বাসস্থান ও আহার্য্য প্রাপ্ত হইয়া থাকে।

 ৩। ধর্ম্মতলা মসজিদ; ইহাকে সাধারণতঃ টিপুসুলতানের মসজিদ বলে; ডিরেক্টর সভা ১৮৪০ সালে প্রিন্স্ গোলাম মহ-