পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
কলিকাতার ইতিহাস।

প্রধান প্রধান উৎসব দিবসে, অথবা; কোনও ধনাঢ্য ব্যক্তি পুজা দিতে আসিলে, ইহার দশ গুণ, বিশ গুণ, চল্লিশ গুণ দ্রব্যও অর্পিত হইয়া থাকে, এবং ৪০ হইতে ৫০টি মহিষ ও ন্যূনাধিক এক সহস্র ছাগ বলি দেওয়া হয়।

 কথিত আছে যে, প্রায় ৫০ বৎসর হইল, কলিকাতার রাজা নবকৃষ্ণ কালীঘাট দর্শনে যাইয়া দেবীর পূজায় অন্ন এক লক্ষ টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন। তাঁহার পূজার অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে ১০০০০ টাকা মুল্যের একছড়া সোনার কণ্ঠমালা, বহুমূল্য শষ্যা, রূপার থালা, রেকাব, বাটি এবং একহাজার লোককে ভোজন করাইবার উপযুক্ত সন্দেশ ও অন্যান্য খাদ্য ছিল; তদ্ভিন্ন প্রায় দুই হাজার কাঙ্গালীকে কিছু কিছু নগদ অর্থও দেওয়া হইয়াছিল।

 “প্রায় ২০ বৎসর হইল, কলিকাতার নিকটস্থ খিদীরপুরবাসী জয়নারায়ণ ঘোষাল এই স্থানে পঞ্চবিংশ সহস্র মুদ্রা ব্যয় করিয়া- ছিলেন; তিনি ২৫টি মহিষ, ১০টি ছাগ ও ৫টি মেষ বলি দিয়া- ছিলেন, এবং দেবীকে চারিটি রূপার হাত, দুইটি সোণার চক্ষু, এবং সোণা রূপার বিস্তর অলঙ্কার অর্পণ করিয়াছিলেন।

 “প্রায় ১১০ বৎসর হইল, পূর্ববঙ্গের একজন মহাজন (বণিক) এই দেবীর কেবল পুজায় পাঁচ হাজার টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন; তদ্ভিন্ন তিনি এক সহস্র ছাগ ক্রয় করিয়া বলি দিয়াছেন।

 “১৮১০ খ্রষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গের একজন ব্রাহ্মণ এই প্রতিমার পূজায় প্রায় ৪০০ টাকা ব্যয় করেন। ঐ টাকার কিয়দংশ দিয়া তিনি একছড়া সোণার কণ্ঠমালা কিনিয়া দিয়াছিলেন; তাহার মালাগুলির আকার অসুরের মুখের মত।

 “১৮১১ সালে গোপীমোহন নামক কলিকাতাবাসী একজন