পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কলিকাতার ইতিহাস।
right

ত্যই তাহার সমকক্ষ হইতে পারে নাই। বৌদ্ধধর্মের প্রাবল্য- কালে বৌদ্ধভিক্ষা বহু প্রসিদ্ধ বিহারে অকাতরে ছাত্রগণকে শিদ্যা বিতরণ করিতেন। কথিত আছে যে, কোন কোন বিহারে পাঁচ হইতে দশ সহস্ৰ ছাত্র থাকিয়া বিনাব্যয়ে আহার্য ও বাসস্থান পাইয়া বিদ্যালাভ করিত। ব্রাহ্মণপণ্ডিতগণের টোল চতুষ্পাঠী পুর্বেও ছিল, এখনও আছে। এই সকল স্থানে বাঙ্গালা ও সংস্কৃত উভয় ভাষার সাহায্যে অধ্যাপনা হয় এবং ব্যাকরণ, অলঙ্কার, কাব্য, স্মৃতি, ন্যায়, জ্যোতিষ, বেদান্ত প্রভৃতি সকল বিষয়ই শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে। এই সকল বিদ্যালয়ের মধ্যে কোন কোনটীর ব্যয় নির্বাহের নিমিত্ত স্থায়ি-সম্পত্তি দেওয়া আছে বটে, কিন্তু অধিকাংশ হলেই বিবাহ, শ্রাদ্ধ, পূজা প্রভৃতি উৎসব উপলক্ষের দানের সাহায্যে ব্যয় নির্যাহ হয়। কোন কোন অধ্যাপক পণ্ডিত ধনাঢ্য হিন্দু ভদ্রসন্তানদিগের নিকট বার্ষিক বৃত্তি পাইয়া থাকেন; এইরূপ বৃত্তিকে সাধারণতঃ কেবল 'বার্ষিক’ বলা হইয়া থাকে। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণ নিঃস্বার্থভাবে ছাত্রগণকে বিনামূল্যে কেবল বিদ্যা নহে, অধিকন্তু বাসস্থান, আহার্য্য ও কোন কোন স্থলে পরিচ্ছদ বিতরণ করিয়া যেরূপ ত্যাগস্বীকার করেন এবং তাঁহাদের শিষ্যগণও কেবল বিদ্যাশিক্ষার অনুরোধেই যেরূপ বিবিধ শারীরিক ক্লেশ স্বীকার করেন, তাহা উভয় পক্ষেরই সবিশেষ শ্লাঘার বিষয় সন্দেহ নাই, এবং তাহাতে হিন্দুজাতির জ্ঞান পিপাসার ও জ্ঞান-বিস্তারাকাঙ্ক্ষার প্রকৃষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়।

 কথিত আছে যে, বাষিক ২,৪০০ টাকা ব্যয়ে ২০টি দরিদ্র বালকবালিকার ভরণপোষণের ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা হইয়াছিল; ইহাদিগকে ওল্ড কোর্ট হাউস বা টাউন হল নামক বাটীতে রাখিয়া