পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়।
১২৯

নিজের স্কুলে ইংরাজী সাহিত্য ও লাটিন শিক্ষার প্রথা প্রবর্তিত করেন। যে ডিরোজিও উত্তরকালে হিন্দু কলেজের প্রসিদ্ধ অধ্যা- পক হইয়াছিলেন, সেই ডিরোজিও বাল্যকালে এই স্কুলে প্রথম শিক্ষা লাভ করেন। ড্রমণ্ড সাহেবের যত্নেই বার্ষিক পরীক্ষার প্রথা প্রবর্তিত হয়। এ কালের ন্যায় সেকালেও পরীক্ষাটা বালকদের একটা বৃহদ্ব্যাপার ছিল। সে দিবস তাহাদের একটা বিষম বিভী- ষিকা ও মহা আনন্দের দিন হইত, একদিকে পরাজয়ের অনুত্তীর্ণ হইবার আশঙ্কা যেমন ভয়ের কারণ হইত, অপর দিকে তেমনি প্রাইজ পাইবার অনিশ্চিত আশা ও আনন্দময় ছুটী পাইবার নিশ্চিত আশা তাহাদিগকে আহ্লাদে অধীর করিয়া তুলিত।

  কীর্ণ্যাণ্ডার সাহেবের মিশন স্কুলের কথা পূর্ব্বেই বলা হইয়াছে। ক্যানিঙ সাহেবের এক স্কুল ছিল; তথায় পরলোকগত রাজা সার রাধাকান্ত দেব বাহাদুর শিক্ষা লাভ করিয়াছিলেন। শেরবর্ণ সাহে- বের স্কুলেই দ্বারকানাথ ঠাকুর শিক্ষিত হইয়াছিলেন। ভবানীপুরে ইউনিয়ন স্কুলেই হিন্দু পেট্রিয়টের সুপ্রসিদ্ধ ও সুযোগ্য সম্পাদক স্বর্গীয় হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া- ছিলেন। রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র পাথুরিয়াঘাটায় ক্ষেম বসুর স্কুলের ছাত্র ছিলেন। মোহন নাপিত, কৃষ্ণমোহন বসু, ভুবন দত্ত, শিবু দত্ত, আরাটুন পিটার্স ও অন্যান্য লোকের অধীনে কতকগুলি স্কুল ছিল। রামমোহন রায়ও মাণিকতলা স্ত্রীটে ইণ্ডিয়ান একাডেমি নামে একটা স্কুল স্থাপন করিয়াছিলেন; উহাকে সাধারণ লোকে রামমোহন রায়ের হিন্দুস্কুল বলিত। এতদ্ভিন্ন আরও অনেক বেসরকারী স্কুল ছিল; তন্মধ্যে কতকগুলির নাম নিয়ে লিখিত হইল;—