পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ট অধ্যায়
১৩৭

বিরল।” হেয়ার ১৮৪২ সালের ১লা জুন কলেবর পরিত্যাগ করিলে এক টাকা করিয়া চাঁদা তুলিয়া একটি সমাধি-স্তম্ভ নির্মিত হইয়া ছিল, তাহাতে যে ক্ষোদিত লিপি মণ্ডিত আছে, তাহার মর্ম এইরূপ—

 “স্কটল্যাণ্ড ইহার জন্মভূমি; ইনি ১৮০০ সালে এই নগরে আগ- মন করেন, এবং ঘড়ি-নির্মাতার ব্যবসায়ে সচ্ছলভাবে চলিবার মত অর্থ উপার্জন করার পর ১৮৪২ সালের ১লা জুন ৬৭ বৎসর বয়ঃ- ক্রমকালে ইহলোক ত্যাগ করেন। ইনি এই বিদেশকেই নিজের দেশ করিয়া লইয়াছিলেন, এবং ইহার একমাত্র অতিপ্রিয় উদ্দেশ্য সাধনে, অর্থাৎ বঙ্গবাসীদিগের শিক্ষা ও নৈতিক উন্নতিবিধানে, অক্লান্ত আগ্রহ ও হিতৈষণার সহিত আপনার জীবনের অবশিষ্টকাল সানন্দে নিয়োজিত করিয়াছিলেন; এজন্য সহস্র সহস্র বঙ্গবাসী ইহার জীবিতকালে ইহাকে পিতার ন্যায় ভালবাসিত ও ভক্তি করিত এবং ইহার মরণেও আপনাদের সর্বোৎকৃষ্ট ও নিঃস্বার্থ বন্ধু বলিয়া শোক প্রকাশ করিতেছে।”

 ডেভিড হেয়ারের সম্মানার্থ তাঁহার উপযুক্ত স্মৃতিচিহ্ন রক্ষা করিবার উপায় নির্ধারণ করিবার জন্য ১৮৪১ সালের ১৭ই জুন তারিখে কাশিমবাজারের বর্তমান মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর পূর্ব- পুরুষ (মাতুল) পরলোকগত রাজা কৃষ্ণনাথ রায়ের যত্নে মেডিক্যাল কলেজের বাড়ীতে হিন্দুসমাজের এক সাধারণ সভা আহূত হয়। তাহাতে স্থির হয় যে, হেয়ারের একটি পূর্ণাবয়ব প্রতিমূর্তি স্থাপিত হইবে; তদনুসারে যে প্রতিমূর্তি স্থাপিত হয়, তাহা এক্ষণে প্রেসি- ডেন্সি কলেজ ও হেয়ার স্কুল এতদুভয়ের মধ্যস্থলে দেখিতে পাওয়া যায়। তাহার পাদদেশে যে লিপি খোদিত আছে, তাহার মর্মার্থ এইরূপ:—