পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
কলিকাতার ইতিহাস।

 “ডেভিড হেয়ারের সম্মানার্থ; তিনি অবিচলিত শ্রমশীলতা দ্বারা সচ্ছলভাবে চলিবার মত যথেষ্ট ধন উপার্জন করিয়াছিলেন, কিন্তু যে বিদেশকে তিনি স্বদেশ করিয়া লইয়াছিলেন, তাহার শুভ-সংবর্ধ- নোদ্দেশ্যে সে ধন উপভোগ করিবার নিমিত্ত জন্মভূমিতে প্রত্যাগত হইবার আশা সানন্দে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন।”

 পরলোকগত বাবু কিশোরচাঁদ মিত্রের উদ্যোগে হেয়ার-বার্ষিক উৎসব-কমিটি গঠিত হইয়াছে; প্রথম অবস্থায় তিনি নিজে উহার সেক্রেটারী এবং পরলোকগত পাদরি ডাক্তার কে, এম, বন্দ্যো- পাধ্যায় উহার সম্পাদক হন। হেয়ারের মৃত্যুর দিবসে ভারতবাসী- দিগের মানসিক বা নৈতিক উন্নতি সম্পকীয় কোনও বিশেষ বিষয়ে প্রতিবৎসর বক্তৃতা প্রদত্ত বা প্রবন্ধ পঠিত হইয়া থাকে। তদ্ভিন্ন বাঙ্গালা ভাষার উৎসাহবর্দ্ধনার্থ “হেয়ার-প্রাইজ ফণ্ড” নামে একটি অর্থভাণ্ডারও সংস্থাপিত হইয়াছে।

 হিন্দু-কলেজের পরবর্তী ইতিহাস সম্বন্ধে অধিক কথা না বলি- লেও চলে। ১৮২৫ সালে হিন্দু-কলেজের বাটী নিৰ্মাণ সমাপ্ত হয়। কিন্তু যাহারা এই ফণ্ডের ধনাধ্যক্ষতা করিয়াছিলেন, সেই জোসেফ ব্যারেটো এণ্ড সন্স নামক কোম্পানি ফেল’ হওয়ায় অর্থাৎ দেউলিয়া পড়ায় তাহাদের হস্তে কলেজের যে কিছু অর্থসঙ্গতি ছিল, সমস্তই লয় প্রাপ্ত হয়। তখন ম্যানেজিং কমিটি গবর্ণমেণ্টের নিকট সাহায্যপ্রার্থী হইলে গবর্ণমেণ্ট তৎক্ষণাৎ মুক্তহস্তে অগ্রসর হইলেন এবং এইরূপ অভিপ্রায় প্রকাশ করিলেন যে, অতঃপর গবর্ণমেণ্টের সাধারণ-শিক্ষা-কমিটি হিন্দু-কলেজের পরিচালনার তত্ত্বাবধান করি- বেন। গবর্ণমেণ্টের এই প্রস্তাব সম্বন্ধে মেম্বরদিগের মধ্যে মতভেদ উপস্থিত হইল। অবশেষে বিবদমান পক্ষদ্বয় ডাক্তার এইচ, এইচ,