পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়।
১৪৫

নামক চুঁচুড়াবাসী একজন পাদরি, নিজ বাসভবনে ১৮১৪ সালের জুলাই মাসে ১৬টি বালক লইয়া একটি স্কুল খুলিয়া বসেন। পরে গবর্নমেণ্ট উহার সাহায্যার্থ অগ্রসর হইয়া মাসিক ৬০০ টাকা পর্যন্ত দিতেন। বদান্যবর বর্ধমানাধিপতি মহারাজাধিরাজ তেজচাঁদ বাহাদুরও এদেশে ইংরেজী শিক্ষার বিস্তারে সাতিশয় যত্নপ্রদর্শন করিয়া গিয়াছেন।

 দেশীয় ভাষার শিক্ষাবিস্তারে খৃষ্টান মিশনরিদিগের চেষ্টা সৰ্বা- পেক্ষা অধিক প্রশংসার যোগ্য। কর্তৃপক্ষের নিকট কোনরূপ উৎ সাহ না পাইয়াও এবং কোম্পানি কর্তৃক নির্ধাসিত হইবার ভয়- সত্বেও তাহারা কেবল যে দেশীয়দিগকে খৃষ্টান করিবার কার্যে সোৎসাহে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন তাহা নহে, প্রত্যুত ইউরোপীয়দিগের মধ্যে তাহরিয়ার্বিপ্রথমে দেশীয় ভাষা শিক্ষা করিতে আরম্ভ করেন। সার উইলিয়ম হণ্টার লিখিয়াছেনঃ— ১৮১০ খৃষ্টাব্দের সমকালে শ্রীরামপুরের ব্যাপটিষ্ট মিশনরিরা বাঙ্গালাকে গদ্য সাধু- ভাষার শ্রেণীতে উন্নীত করেন। শিক্ষা বিষয়ে মিগনবিদিগের স্বত্ব অধুনা গবর্ণমেণ্টের ক্রিয়াশীলতায় অপেক্ষাকৃত মন্দীভূত বলিয়া প্রতীয়মান হইলেও প্রকৃতপক্ষে আজিও সম্পূর্ণ নিরস্ত হয় নাই; সেকালে শিক্ষা সম্বন্ধে তাঁহাদের দুইটি স্বতন্ত্রভাব ছিল;—জন- সাধারণের নিকট ধর্মপ্রচার ও বাইবেলের অনুবাদ করিবার নিমিত্ত তাঁহারা নিজে দেশীয় ভাষা শিক্ষা করিতেন এবং পাশ্চাত্য জ্ঞান প্রচারিত করিবার প্রণালীস্বরূপ ইংরাজী ভাষা শিক্ষা দিতেন।

 কথিত আছে যে, ১৮১৭ সালের পূর্বে ডেভিড 'হেয়ার রাজ সার রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের সহিত মিলিত হইয়। বাঙ্গালা বিদ্যা- লয়সমূহের উন্নতিবিধানার্থ অনেক সময় নিয়োজিত করিতেন।