পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়।
১৫৯

বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছেন, সেগুলি স্ত্রী-শিক্ষাবিস্তারের প্রধান সাধন। এই সমস্ত স্কুলের শিক্ষাপ্রদান বিষয়ে বিশেষত্ব এই যে, গ্রাম্য চলিত বাংলায় বাইবেলের উপদেশ প্রদত্ত হইত। কয়েক বৎসর হইল, হিন্দু-বালিকাদিগের জাতীয়ভাবে শিক্ষা দিবার উদ্দেশ্যে “মহাকালী পাঠশালা” এবং কলিকাতা ও তন্নিকটবর্তী স্থানসমূহে উহার কতকগুলি শাখা-বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়াছে। নৈতিক ও ধর্মবিষক শিক্ষা দানই এই সমস্ত বিদ্যালয়ের বিশিষ্ট গুণ। মাতাজী মহারাণী তপস্বিনীর অনুগ্রহে এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা; এজন্য তিনি অশেষ ধন্যবাদের পাত্রী। হিন্দু জনসাধারণও এই সদাশয়া পরহিতৈষিণী মহিলার উদ্যোগে সর্বান্তঃকরণে যোগ- দান করিয়াছে, এবং এই বিদ্যালয়ও সমাজের সর্বশ্রেণীর লোকের অতি আদরের সামগ্রী হইয়া উঠিয়াছে। এতদ্ভিন্ন আরও অনেক গুলি স্ত্রী শিক্ষালয় আছে; সে সকলের কথা বলা হয় নাই। এ সম্বন্ধে ব্রাহ্মদিগের আগ্রহ ও যত্ন সবিশেষ প্রশংসনীয়। তদ্ব্যতিরিক্ত ইউরোপীয় বালিকাদের জন্যও কয়েকটি স্কুল ও কলেজ সুন্দররূপে পরিচালিত হইতেছে। মুসলমান-সমাজেও স্ত্রী-শিক্ষা প্রবেশলাভ করিয়াছে; অনেকগুলি মুসলমান-বালিকাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। কাশিমবাজারের মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী বাহাদুর একটি মুসলমান-বালিকা-বিদ্যালয়ে প্রচুর অর্থসাহায্য করিয়া আপনার উদারতা প্রকাশ করিয়াছেন।

 পাদরি লঙ সাহেব বলেন, সেকালে ১৭৭০ সালেও পুরাতন কেল্লার ভিতর একটি সাধারণ পুস্তকাল ছিল। ওরিএণ্টাল কমার্স (প্রাচ্য বাণিজ্য) নামক পুস্তকে তৎকালে ইউরোপ হইতে আনীত গ্রন্থাবলীর একটি তালিকা দৃষ্ট হয়, মিষ্টার মণ্ডুরু নামক