পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়।
১৬৫

titute:—বঙ্গের ভূতপূর্ব লেফটেন্যাণ্ট গভর্ণর সার চার্লস ইলিয়টের ঐকান্তিক ইচ্ছায় ইহার উদ্ভব। বঙ্গীয় ছাত্র- বৃন্দের মানসিক, নৈতিক ও শারীরিক অবস্থার উন্নতি সাধন হইবার উদ্দেশ্যে প্রসিদ্ধ লেখক ও বক্তা প্রতাপচন্দ্র মজুমদার, সংস্কৃত কলেজের ভূতপুর্ব অধ্যক্ষ মহামহোপাধ্যায় মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন, রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেব বাহাদুর, পরলোকগত রায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাহাদুর, হাইকোর্টের ভূতপূর্ষ জজ সার ডাক্তার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ খ্যাতনামা ব্যক্তিগণ প্রথম অবস্থায় ইহার সহিত সংসৃষ্ট ছিলেন। বাবু প্রতাপচন্দ্র মজুমদার ইহার সম্পাদক ও রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেব বাহাদুর খনাধ্যক্ষ হন। বক্তৃতা সামাজিক সম্মিলনী, এবং নির্দোষ ও স্বাস্থ্যকর ক্রীড়া ও আমোক প্রমোদের ব্যবস্থা হইত, এবং ঐ সকল ব্যাপারে বঙ্গের শাসন- কর্তারা অবাধে ছাত্রবৃন্দের সহিত মিশিতেন। কিছুদিন পরে পরলোকগত অধ্যাপক সি, আর, উইলসন সম্পাদক হইলেন, এবং সেই সময়ে ইহার পুর্ব্বনামের পরিবর্তে বর্তমান ইউনিভার্সিটি ইনষ্টিটিউট নাম হইল। ইহা সংস্কৃত কলেজের পুর্বপার্শ্বে অব স্থিত। ইহার সংস্রবে একটী উৎকৃষ্ট লাইব্রেরী আছে। ইহারই প্রত্বে মার্কস স্কোয়ার ক্রীড়াভূমির উদ্ভব হইয়াছে; তথায় কলি- কাতায় সমস্ত কলেজের ছাত্রগণের নিমিত্ত স্বাস্থ্যকর ক্রীড়ার ব্যবস্থা হইয়া থাকে। রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেব বাহাদুর এতদর্থে বেঙ্গল গবর্ণ- মেণ্টের হস্তে যে অর্থ প্রদান করেন, তাহা হইতেই সার চার্লস ইলিয়ট এই মহাসমিতির সূত্রপাত করেন। ইহার কাজকর্মের তত্ত্বাবধান করিবার জন্য একটি কমিটী আছে।

 বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎঃ—রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেব বাহাদুরের যত্নে