পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম অধ্যায়।
১৬৯

ঈজিয়ান্ সাগরের দ্বীপগুলিতে উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিল। “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ” এই প্রবাদবাক্য অদ্যাপি হিন্দুদিগের মধ্যে প্রচলিত আছে।

 ওয়াল্টার হ্যামিল্টন সাহেব অনুমান করেন যে, “দেশীয় বণিকদিগের দশ লক্ষ পাউণ্ডের কম মূল্যের কাপড় কলকাতায় প্রায় মজুত হইত না, এবং অন্যান্য সর্ব্বপ্রকার পণ্য দ্রব্যও ঐ অনুপাতে মজুত হইত।”

 “অনুমিত হইয়াছে যে, সে সময়ে দেশীয় মহাজন ও বণিকগণের ১,৬০,০০,০০০ পাউণ্ডেরও অধিক মূলধন খাটিয়া থাকে; ঐ অর্থ তাহারা কোম্পানির কাগজে নিয়োজিত করে, অপরাপর ব্যক্তিকে সুদে ও বাটায় দাদন করে, অন্তর্বাণিজ্যে ও বহির্বাণিজ্যে এবং বিবিধ প্রকারে খাটায়!... ...১৮০৮ সালর সেপ্টেম্বর মাসে ৫ লক্ষ টাকা মূলধন লইয়া কলিকাতা গবর্নমেণ্ট ব্যাঙ্ক স্থাপিত হয়; ঐ ৫০ লক্ষের মধ্যে গবর্নমেণ্টের ১০ লক্ষ টাকা ছিল, এবং অবশিষ্ট টাকা অন্যান্য ব্যক্তির। ঐ ব্যাঙ্ক হইতে যে সমস্ত নোট বাহির হইত, তাহাদের মূল্য ১০্ টাকার ন্যূন ও ১০,০০০্ টাকার অধিক নহে।”*

 * ওরিএণ্ট্যাল কমার্স (প্রাচ্য বাণিজ্য) নামক পুস্তকে ব্যাঙ্ক-সংস্থাপনসম্বন্ধে এইরূপ বিবরণ লিখিত আছে:—

 “বঙ্গদেশে একটা ব্যাঙ্ক স্থাপিত হইয়া ১৮০১ সালের ২রা জানুয়ারি তারিখে সনন্দদ্বারা বিশেষ অধিকার প্রাপ্ত সমাজরূপে পরিণত হয়। ইহার মোট মূলধন ৫০,০০০্ টাকা এবং ১০,০০০্ টাকা করিয়া ৫০০ অংশে বিভক্ত। তন্মধ্যে ১০০টি অংশ গবর্ণমেণ্টের এবং অবশিষ্ট অংশ অন্যান্য লোকের। কোম্পানীর কর্ম্মচারীগণ, ভিন্ন ভিন্ন বিচারালয়ের জজগণ, এবং অপরাপর ব্যক্তি