ওয়াল্টার হ্যামিল্টন সাহেবের ঈষ্ট ইণ্ডিয়া গেজেটিয়ার হইতে নিম্নোদ্ধৃত তালিকা দৃষ্টি করিলে প্রায় এক শতাব্দী পূর্ব্বে এ দেশের বাণিজ্যের অবস্থা কিরূপ ছিল, তাহার কতক আভাস পাওয়া যায়। ইহাতে ১৮১১ সালের ১লা জুন হইতে ১৮১২ সালের ৩০শে এপ্রেল পর্যন্ত ১১ মাসের হিসাব ধরা হইয়াছে:—
পণ্যদ্রব্য ... ... ... ১,১৩,৩৮,৬৯২
অর্থ ... ... ... ৬৭,৮৫,৬৯৮
সিক্কা টাকা ... ১,৮১,২৪,৩১৲
বা
পাউণ্ড ... ২২,৫,৫৯
রপ্তানি।
পণ্যদ্রব্য ... ... ৩,৪০,০৩,০০১
ব্যাঙ্কের অংশী বইতে পারেন। ইহার কাজকর্ম্ম নয় জন ডিরেক্টর দ্বারা পরিচালিত হয়; তিনজন গবর্ণমেণ্টের এবং অবশিষ্ট ছয় জন অপরাপর অংশীদারদিগের নির্ব্বাচিত। ব্যাঙ্কের পক্ষে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে বাণিজ্যে ও অপরের প্রতিনিধি স্বরূপ ক্রয়বিক্রয়াদি কার্যে ব্যাপৃত হওয়া নিষিদ্ধ; যথাসম্ভব বাটা কাটিয়া লওয়া লোকের সম্পত্তির দলিল বা নিদর্শনপত্র বন্ধক রাখিয়া টাকা কর্জ্জ দেওয়া নগদ টাকার হিসাব রাখা’ টাকা জমা রাখা, এবং সূদের আদান প্রদান করা, কেবল এই সকল কার্য্যই ইহার করণীয়; তদ্ভিন্ন ইহা পণ্য স্বর্ণরৌপ্যের পিণ্ড, নগদ অর্থ, রত্নালঙ্কার সোণা রূপার বাসন কোসন, ও অন্যান্য যে সকল মূল্যবান্ বস্তু সহজে নষ্ট হয় না বা ক্ষয় পায় না, সেই সকল দ্রব্য যুক্তিসঙ্গত সর্ত্তে জমা রাখিতে নিরাপদে রক্ষা করিবার নিমিত্ত গ্রহণ করিতে পারে।”