(১) আর ও পারস্য উপসাগর।
(২) পেরু।
(৩) পেনাঙ ও তাহার পূর্ব্ববর্ত্তী স্থানসমূহ।
(৪) মালাকা।
(৫) বাটাভিয়া।
(৬) ম্যানিলা।
৭) চীন।
(৮) অন্যান্য স্থান। অন্যান্য স্থান বলিতে প্রধানতঃ এইগুলি বুঝিতে হইবে, যথা—মালদ্বীপ ও লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জ, মোজাম্বিক ও আফ্রিকার পুর্ব্বোপকূলস্থ অন্যান্য বন্দর, নিউসাউথ ওয়েলস, উত্তমাশা অন্তরীপ, সেণ্টহেলেনা, ইত্যাদি।
ভারতবর্ষের অন্তর্গত এক বন্দরের সহিত অপর বন্দরের বাণিজ্যকে সাধারণতঃ দেশ বাণিজ্য বলে; ইহা সাধারণ লোকের হস্তগত ছিল, কোম্পানি ইহাতে কখনও হস্তক্ষেপ করিতেন না। আর ইহাও দেখা যায় যে, তৎকালে উত্তমাশা অন্তরীপের পূর্ব্বভাগ হইতে আরম্ভ করিয়া(এক জাপান ব্যতীত) এমন কোনও বাণিজ্যগ্রধান স্থান ছিল না যেখানে কোম্পানির অধিকারের অধিবাসী ইংরেজ বা দেশীয় বণিকগণ বাণিজ্য না করিত; ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি শৈশবে জাপানের সহিত বাণিজ্য সম্বন্ধ সৎস্থাপন করিতে কয়েকবার চেষ্টা করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু কৃতকার্য হইতে পারেন নাই। বহুকাল পর্য্যন্ত এক ওলন্দাজ ব্যতীত অন্য সমস্ত ইউরোপীয় জাতির পক্ষেই জাপানে গমন নিষিদ্ধ ছিল; এই নিষেধ সত্বেও কিছু দিন পূর্বে একখানি জাহাজ কলিকাতা হইতে প্রেরিত করা হইয়াছিল, কিন্তু তাই বাণিজ্য করিবার অনু