পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম অধ্যায়।
১৮৩

পরে ১৮১৩ সালেও ইংলণ্ডের জনৈক লেখক জিজ্ঞাসা করিতেছেন। —“কোম্পানি যে জাতির নিকট সনদ প্রাপ্ত হইয়াছিল, সেই জাতির প্রকৃত ক্ষতি ও প্রভূত হানি করিয়া ভারতবাসীদিগকে যে জাহাজ নির্মাণ কার্যে নিযুক্ত করে, ইহা কি অত্যন্ত দুঃখের বিষয় নহে?” এই ব্যাপারে কোম্পানি যেরূপ মহাভ্রমে পতিত হইয়াছে, তাহাতে যদি অব্যাহত বাণিজ্য চলিতে দেওয়া যায়, তাহা হইলে ভবিষ্যতে কিরূপ ব্যাপার ঘটিবে, তাহা সহজেই বুঝা যাইতেছে; অধিক লাভার্থী ইংরেজ বণিকেরা যদি ইংলণ্ডের মুলধন ভারতবর্ষে লইয়া যায়, তাহা হইলে বোধ করি সে দেশে ডক-ইয়ার্ভ বহুপরিমাণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইবে এবং সেই অনুপাতে ইংলণ্ডের কারিকরদিগেরও ক্ষতি বর্ধিত হইবে। বারাকপুরের নিকটস্থ টিটাগড় নামক স্থানে নদীতারে একটি বৃহৎ জাহাজ নির্মাণশালা হিল; তথায় ৫,০০০ টন বোঝাই লইতে পারে এরূপ একটা প্রকাণ্ড জাহাজ নির্মিত হইয়াছিল। ঐ জাহাজ ভাসাইবার সময়েও লিভারপুলের জাহাজনির্মাতারা ঈর্ষ্যাপ্রকাশ করিতে ত্রুটি করে নাই। যে স্থানে পুরাতন টাঁকশাল ছিল, ঐ স্থানে তৎপূর্বে গিলবার্ট সাহেবের জাহাজ-নির্মাণের আজ্ঞা ছিল।

 ১৭৬২ সালে কলিকাতায় প্রথম মুদ্রা প্রস্তুত হয়; কিন্তু ১৭৭০ সাল পর্য্যন্ত তাম্রমুদ্রা প্রস্তুত হয় নাই। পয়সার তখন চলন ছিল বলিলেই হয়। কড়ির প্রচলনই তৎকালে অধিক ছিল। ইহার বহুপূর্ব্বে ১৬৮০ অব্দে স্মিথ নামক কোন সাহেব ইংলও হইতে বাষিক ৬০ পাউণ্ড বেতনে ‘য়্যাসেমাষ্টার’ (মুদ্রা-পরীক্ষক) নিযুক্ত হইয়া আসিয়াছিলেন। পুরাতন টাকশাল সেণ্টজনস চর্চ্চ নামক গির্জার পশ্চিমে অবস্থিত ছিল; তথায় ১৭৯১ হইতে ১৮৩২ সাল