পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
কলিকাতার ইতিহাস।

হলওয়েল সাহেব গ্রামত্রয়ের পরিমাণফল এইরূপ নির্দ্দেশ করিয়াছেন, যথা,—

 দিল্লী কলিকাতা ... বিঘা ১,৭০৪৴৩ কাঠা।

 সূতানুটী ... “১৮৬১ ৹২॥ কাঠা।

 গোবিন্দপুর ... “১,৭৪১॥৩॥ কাঠা।

 “১৭৫৭ অব্দে কলিকাতার চতুঃসীমা এইরূপ নিদিষ্ট ছিল;—বর্ত্তমানে যে স্থানে বেঙ্গল ব্যাঙ্ক ও চাঁদপাল ঘাট অবস্থিত, সেইখান হইতে আরম্ভ করিয়া চৌরঙ্গি রোড ভেদ করিয়া লবণ জলের হ্রদ পর্য্যন্ত যে খাড়ি বিস্তৃত ছিল, সে খাড়ির উত্তর; লালবাজার ও চিৎপুর রোডের পশ্চিম; বড়বাজারের দক্ষিণ; এবং ভাগীরথী নদীর পূর্ব্ব। এই চতুঃসীমার বহির্ভূত তাবৎ স্থানকে মহাদেশ-বলিত, কেননা খাড়ি, নদী ও মার্হাট্টা খাত দ্বারা পরিবেষ্টিত হইয়া কলিকাতা একটি দ্বীপস্বরূপ ছিল।”

 "১৬৯৮ খৃষ্টাব্দে ইহা যখন জমিদারীরূপে ক্রীত হয় তৎকালে ইহার পরিমাণ-ফল ১॥৹ বর্গ মাইল মাত্র ছিল। কলিকাতা সে সময়ে একটী বাণিজ্যিক উপনিবেশ বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল।”

 নগরের যে অংশের মধ্য দিয়া চিৎপুর রোড বিস্তৃত তাহাই পুর্ব্বকালের সূতানুটী। যে ঘাট এক্ষণে হাটখোলা ঘাট নামে পরিচিত, তাহাই প্রায় এক শতাব্দীকাল সূতানুটী ঘাট নামে প্রসিদ্ধ ছিল, এবং তাহারই অতি নিকটে সূতানুটী বাজার নামে একটী প্রকাণ্ড বাজার ছিল। ১৮৫০ সালের ২৩ আইন অনুসারে সমস্ত কলিকাতা যখন জরিপ করা হয়, তখন সূতানুটীর চতুঃসীমা এইরূপ নিদিষ্ট হয়: বাগবাজার খালের (মার্হাট্টা খাতের) দক্ষিণ, অপার সার্কুলার রোডের পশ্চিম, রতন সরকারের গার্ডেন ষ্ট্রীট নামক রাস্তার