পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম অধ্যায়।
১৮৭
১৭৯৩-১১ ... ... ৯,৩০,৯৩০


১৭৯১-৯২ ... ... ৭,০৯,৪৫০


১৭৯২-৯৩ ... ... ৭,০৩,৫৭৮

            মোট ৬০,৬৯,৮৮৯ 

 আট বৎসরে এই যে ৬০,৩৯,৮৮৯ পাউণ্ড হইল, ইহা হইতে চা, চীনা-বাসন, ন্যাঙ্কিনের কাপড়, ঔষধ প্রভৃতি চীনা মালের আনুমানিক মূল্য বৎসরে ২,৫০,৫০০ পাউণ্ড হিসাবে বৎসরে ২০,০০,০০০ পাউণ্ড বাদ দিলে ভারতীয় দ্রব্যের মূল্য ৪, ৬৯, ৮৮৯ পাউণ্ড দাঁড়ায়। বাণিজ্য-শুল্ক ইহার অন্তর্নিবিষ্ট আছে, কারণ এই সময়ে কি রপ্তানি মালের উপর, কি স্বদেশে ব্যবহৃত দ্রব্যের উপর সমস্ত শুল্কই কোম্পানিকে দিতে হইত, এবং পরে রপ্তানি মালে কাটিয়া লইতে হইত।

 মিলবর্ণ সাহেব বলেন, “ইউরোপ হইতে বৈদেশিকগণ যে বাণিজ্যের পরিচালনা করেন, তাহা সাতিশয় হিতকর, কারণ তাঁহাদের আমদানি মালের অধিকাংশই অর্থ ... তাঁহাদের লাভ দেশে নির্ম্মিত দ্রব্যে করা হয় ... আর এই বাণিজ্যধারা বাঙ্গালার যে অর্থাগম হইয়াছে, তাহা বার বৎসরের গড় করিলে শুল্ক ব্যতীত বৎসরে ৫,০০,০০০ পাউণ্ড হয়; তদ্ভিন্ন কলিকাতাবাসী ইংরেজদিগের লাভ আছে,—তাঁহারাই যাবতীয় বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রধান এজেণ্ট (কর্ম্মকর্ত্তা)।”

 কলিকাতা রিভিউ পত্রে জনৈক লেখক ইউরোপীয় বণিকদিগের নৈতিক চরিত্র সম্বন্ধে মন্তব্য প্রকাশ করিতে করিতে মর্সেল নামক একজন ওলন্দাজ লেখকের উক্তি উদ্ধৃত করিয়াছেন। মর্সেল ওলন্দাজ ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির সম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন:—