পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম অধ্যায়।
১৯৭

এসিয়ার উত্তরাংশ দিয়া ভারতবর্ষে আসিবার পথ আবিষ্কার করিবার চেষ্টা করেন; কিন্তু কৃতকার্য্য হন নাই। ইহার কিছু পরে তাহারই সহকারী চ্যান্সেলের নামক একজন সুইডেনবাসী মস্কাট নগরের গ্রাঞ্চ ডিউকের কৃপায় একটি পথ আবিষ্কার করিতে সমর্থ হন, এবং তাহার ফলে ভারতবর্ষ পারস্য, বোখারা ও মস্কাউ এই কয়েকটি স্থানের মধ্যে স্থলপথে বাণিজ্য করিবার অভিপ্রায়ে রুশীয় কোম্পানী স্থাপিত হয়। পূর্বে ভারতে আসিবার একটি উত্তর পুর্ব্ব পথ আবিষ্কার করিবার নিমিত্ত ১৫৭৬ হইতে ১৬১৬ পর্য্যন্ত বহুবার চেষ্টা করা হইয়াছিল; কিন্তু হাতে সাফল্য লাভ ঘটে নাই। ফরিসার ডেভিস, হডসন, বেফিন প্রমুখ ব্যক্তিগণ আধুনিক মানচিত্রে আপনাদের অবিনশ্বর চিহ্ন রাখিয়া গিয়াছেন। অবশেষে ভূমণ্ডলবেষ্টনকারী সার ফ্রান্সিস্ ড্রেক মালকা দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্বত্তী টার্ণেটের বন্দরে উপনীত হন এবং সেই দ্বীপের রাজা ইংরেজদিকে লবঙ্গ প্রদান করিতে স্বীকার করেন। সার উইলিয়ম হণ্টার ইংরেজজাতির কৃতকার্য্যতার এইরূপ কারণ নির্দ্দেশ করিয়াছেন;—

 “বিভিন্ন ইউরোপীয় জাতি ভারতবর্ষের জন্য যে দীর্ঘকালব্যাপী সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, তাহাতে ইংরেজেরাই বিজয়ী হইয়া বহির্গত হন। তাঁহাদের সাফল্য লাভের আংশিক কারণ সৌভাগ্য, সন্দেহ নাই; কিন্তু তাহার প্রধান কারণ জাতীয় চরিত্রের চারিটি বিশিষ্ট গুণ। প্রথমতঃ অত্যদ্ভুত সহিষ্ণুতা এবং যত দিন না তাঁহারা যথেষ্ট শক্তি সঞ্চয় করিতে পারিয়াছিলেন, ততদিন দেশ বা রাজ্য জয়ে অপ্রবৃত্তিরূপ আত্মসংযম। দ্বিতীয়তঃ দেশ বা রাজ্য জয়ে প্রবৃত্ত হইবার পর সে বিষয়ে অদম্য অধ্যবসায় এবং ইংরেজ