পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় অধ্যায়।
১৭

 ইংলণ্ডের দ্বিতীয় জেমস ভারতবর্ষে ইংরেজ বণিকদিগের দুর্দ্দশার কথা শুনিয়া কোম্পানীর পক্ষ অবলম্বন করিলেন, এবং সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সহিত তাঁহাদের সময়ে প্রবৃত্ত হইবার প্রার্থনায় অনুমোদন করিলেন। ইংলণ্ডের সামরিক নৌ-বিভাগ হইতে দশ খানি জাহাজ কাপ্তেন নিকলসন নামক জনৈক সেনাপতির নেতৃত্বাধীনে প্রেরিত হইল। জাহাজগুলিতে ১২ হইতে ৭০টি পর্যন্ত কামান সজ্জিত ছিল। নিকলসনের প্রতি এই অনুমতি ছিল যে, বন্দরে পহুছান পর্যন্ত তিনি পোতবহরের কর্তৃত্ব করিবেন, কিন্তু পোতবহর বন্দরে উপস্থিত হইবামাত্র হুগলীর প্রধান ইংরেজ কর্ম্মকর্ত্তা তাঁহার পদ গ্রহণ করিয়া প্রধান নৌ-সেনাপতিরূপে সমস্ত বহরের অধ্যক্ষতা করিবেন, আর জাহাজে যে ছয় দল পদাতি সৈ ছিল, কাউন্সিলের সদস্যগণ তাহাদের নেতৃত্ব করিবেন। নকল সনের প্রতি আদেশ ছিল যে, তিনি ক্ষতিপূরণ স্বরূপ ৬৬ লক্ষ টাকার দাবি করিবেন এবং আবশ্যক হইলে বলপ্রকাশ করিয়া কামানের মুখে সেই টাকা আদায় করিয়া লইবেন। এই পোতবহরের কয়েক খানি মাত্র জাহাজ হুগলীতে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে, এজেণ্ট সাহেব সোদ্বেগে অবশিষ্ট জাহাজের আগমন প্রতীক্ষা করিতেছেন, এমন সময়ে ঐ জাহাজের তিনজন নাবিকের মদমত্ত অবস্থার সামান্য ঝগড়া লইয়া উভয় পক্ষে প্রকাশ্য যুদ্ধ উপস্থিত হইল।

 কাপ্তেন নিকলসন এইরূপ সুন্দর ছল পাইয়া নগরের উপর গোলাবর্ষণ করিতে লাগিলেন এবং ৫০০ গৃহে আগুন লাগাইয়া দিলেন। বলা বাহুল্য, এরূপ অবস্থায় গোলযোগের আপোষ নিস্পত্তির সম্ভাবনা সুদূরপরাহত হল। পরন্তু ফৌজদার ভয় পাইয়া যুদ্ধ স্থগিত মাখিবার প্রার্থনা করিল এবং সেই সঙ্গে নিকলসন সাহেবের দাবী