পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম অধ্যায়।
২১৫

“জমিদার” সাহেব স্বীয় চর্ম্মপাদুকাদ্বারা তাঁহার মস্তকে প্রহার করিলেন।

 গভর্ণর ভেরেলেষ্ট সাহেব আর একটি আখ্যায়িকা এইরূপে বিবৃত করিয়াছেন;—

 ১৭৬২ অব্দে জনৈক দেশীয় ব্যক্তি তাহার একটি পত্নীকে পরপুরুষাভিগমন কার্য্যে ধরিয়া ফেলে। প্রাচ্য দেশের সর্ব্বত্রই স্ত্রীলোকেরা তাহাদের স্বামীর ইচ্ছার সম্পূর্ণ অধীন এবং প্রত্যেক স্বামী নিজ পত্নীকৃত অহিতাচরণের প্রতিশোধ গ্রহণকর্ত্তা। সুতরাং ঐ ব্যক্তি পত্নীর অপরাধসম্বন্ধে নিঃসন্দিগ্ধ হইয়া তাহার নাসিকা কর্ত্তনপুর্ব্বক তাহার দণ্ডবিধান করে। পুরুষটি কলিকাতার সেশন (দায়রা) আদালতে অভিযুক্ত হইল। সে সমস্ত ঘটনা স্বীকার করিল, কিন্তু আত্মপক্ষসমর্থনার্থ বলিল যে, আমি যেরূপ বিধিব্যবস্থা ও আচার ব্যবহারসমূহের মধ্যে শিক্ষিত হইয়াছি, তাহার বিরুদ্ধে আমি কোন অপরাধই করি নাই; স্ত্রীলোকটী আমার নিজ সম্পত্তি এবং দেশীয় রীতি-অনুসারে তাহার দুশ্চরিত্রতার নিমিত্ত তাহার দেহে কোনরূপ চিহ্ন করিয়া দিবার অধিকার আমার আছে; আপনারা যে সমস্ত আইন-অনুসারে আমার বিচার করিতেছেন, তাহাদের কথা আমি পূর্ব্বে কখনও শুনি নাই, কিন্তু আমি বিচারক গণকে একটি কথা জিজ্ঞাসা করিতে চাই,—আপনারা কি বিশ্বাস করেন যে, যদি আমি জানিতাম যে ইহার দণ্ড মৃত্যু, তাহা হইলে আপনারা যাহাকে এক্ষণে অপরাধ বলিতেছেন, আমি কখনও তাহা করিতাম কি? এইরূপ সুন্দর আত্মপক্ষ সমর্থন-সত্ত্বেও ঐ ব্যক্তি অপরাধী বিবেচিত হইয়া মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হইয়াছিল, কারণ যদি আদালতের বিচার-ক্ষমতা থাকে, তাহা হইলে