পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম অধ্যায়।
২১৭

বারে অভিযোগসমূহ শ্রুত হইত এবং ৩ জন সদস্য উপস্থিত হইলেই বিচারালয়ের অধিবেশন হইত। প্রথম প্রথম দেশীয় অধিবাসীরা কমিশনার নির্ব্বাচিত হইতেন, কিন্তু অবশেষে কেবল ইউরোপীয় বণিক গণই সদস্যরূপে নির্ব্বাচিত হইতেন।

 “কোর্ট অভ্ কোয়ার্টার সেশন্‌স” নামক বিচারালয়ে কেবল নরহত্যা, রাজবিদ্রোহ প্রভৃতি উৎকট অপরাধসমূহের বিচার হইত। ইহাও কথিত আছে যে, এতদ্ভিন্ন কলিকাতায় মোগলদিগের ক্ষমতাধীনে আরও তিনটি বিচারালয় ছিল। কোম্পানির ভূমি ও কুঠির সীমার মধ্যে সুধারা ও শান্তি এবং সুশাসন পরীক্ষা করাই এই সকল বিচারালয়ের আদিম উদ্দেশ্য ছিল।

 ইংরেজ কর্ত্তৃক বঙ্গবিজয়ের পর বিচারালয়গুলির অবস্থা উত্তরোত্তর অধিকতর নিয়মবহির্ভূত হইয়া পড়িতে লাগিল। শাসন-তরণীর কর্ণ মুসলমান সুবাদারের হস্তেই ছিল। গুরুতর রাজনৈতিক হেতু বশতঃ তৎকালে শাসনরশ্মি মুসলমানদিগের হস্তে রাখাই অত্যাবশক বিবেচিত হইয়াছিল। এইরূপে রাজক্ষমতা এবং দেওয়ানী ও ফৌজদারী মোকদ্দমার বিচারভার তাঁহাদের হস্তেই থাকিয়া যায়। সুবার শাসন দুই অংশে বিভক্ত ছিল, যথা (১) দেওয়ানী অর্থাৎ রাজস্ব সংগ্রহ এবং দেওয়ানী বিচারের প্রধান প্রধান বিভাগের পরিচালন, এবং (২) নিজামৎ অর্থাৎ সামরিক বিভাগ এবং তৎসহ ফৌজদারী বিচারবিভাগের তত্ত্বাবধান। তৎকালে দেওয়ানী নিজামতের অধীন ছিল। ইহা যেন স্মরণ থাকে যে, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি ইংলণ্ডের রাজা ও পার্লামেণ্ট সভার শাসনাধীন ছিল। পার্লামেণ্ট সভা আবার ইংলণ্ডের জনসাধারণের অধীন। পলাসীর যুদ্ধের পর কোম্পানি এত