পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম অধ্যায়।
২২৭

বিভাগ শাসনকর্ম্মচারীদিগের অধীনতা-পাশ ছেদন করিয়া স্বাতন্ত্র্য অবলম্বন করিতে পারিবে। সুপ্রীম কোর্টে প্রথমতঃ একজন চীফ জষ্টিস্ (প্রধান বিচারপতি) এবং তিনজন পিউনি জজ অর্থাৎ অধস্তন বিচারপতি নিযুক্ত হন। তাঁহারা গভর্ণর ও কাউন্সিলের অধীন হইলেন, এবং তদ্ভিন্ন তাঁহাদের হস্তে বিস্তৃত দেওয়ানী ও ফৌজদারি ক্ষমতা অর্পিত হইল। এই সকল বিচারপতি এইরূপ সংস্কারবদ্ধ হইয়া বঙ্গে পদার্পণ করিলেন যে, কোম্পানির কর্ম্মচারিগণের অবিচারে ও অযথা উৎপীড়নে এতদ্দেশীয়দিগের দুঃখের অবধি নাই। পশ্চাল্লিখিত আখ্যায়িকায় তাহাদের সেই পূর্ব্ববদ্ধ সংস্কারের বিলক্ষণ পরিচয় পাওয়া যায়। এ দেশের লোকেরা উৎকট অত্যাচার উৎপীড়নে ক্লেশ ভোগ করিতেছে, এইরূপ প্রবল ধারণা লইয়া সুপ্রীম কোর্টের নবনির্ব্বাচিত বিচারপতিগণ যখন চাঁদপাল ঘাটে অবতীর্ণ হইয়া এতদ্দেশীয়দিগকে নগ্নপদ দেখিলেন, তখন তাঁহাদের মধ্যে এক জন অপর জনকে কহিলেন, “ঐ দেখ ভাই। এ দেশের লোক কি দারুণ উৎপীড়নই সহ্য করিতেছে!প্রয়োজনের পূর্ব্বে সুপ্রীম কোর্টের সৃষ্টি হয় নাই। আমি বোধ করি, আমাদের কোর্ট প্রতিষ্ঠার ছয় মাসের মধ্যেই এই সকল হতভাগ্য ব্যক্তি জুতা ও মোজা পায়ে দিবার সংস্থান প্রাপ্ত হইবে।” সুতরাং এই সকল বিচারপতি যে এ দেশে উপস্থিত হইয়া সেই দিনই শাসনকর্ম্মচারীদিগের প্রতিকূলে অস্ত্র ধারণ করিয়া তাহাদের দমনে প্রবৃত্ত হইবেন, তাহাতে আর আশ্চর্য্যের বিষয় কি আছে?

 এইরূপে সুপ্রীম কাউন্সিল (১৭৭৩ অব্দের যে রেগুলেটিং এক্টের বিধানানুসারে সুপ্রীম কোর্ট স্থাপিত হইয়াছিল, তাহারই বিধান অনুসারে এই সুপ্রীম কাউন্সিলও সৃষ্ট হয়) এবং সুপ্রীম