পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম অধ্যায়
২২৯

হইল। সকাউন্সিল গভর্ণর জেনারেল রাজাকে বলিয়াছিলেন, তিনি যেন সুপ্রীম কোর্টের ডিক্রী প্রভৃতি আদেশ মান্য না করেন। সুপ্রীম কোর্টও গভর্ণর জেনারেল এবং কাউন্সিলের সদস্যগণের প্রত্যেকের নামে ব্যক্তিগতভাবে শমন জারি করিলেন। অবশেষে ইংল্যাণ্ডে পার্লামেণ্ট সভায় আবেদন করা হইল, এবং ১৭৮১ অব্দে একটি সংশোধক আইন জারি হইল। তদ্দ্বারা সুপ্রীম কোর্টের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ লইল, উহাকে সুপ্রীম কাউন্সিলের অধীন করা হইল এবং মফঃস্বলের বিচারালয়গুলি যে দেওয়ানীর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, তাহাও স্বীকৃত হইল। এইরূপে ক্ষমতা ও প্রভাব সঙ্কুচিত হওয়ায় সুপ্রীম কোর্ট দ্বারা দেশের সবিশেষ হিত সাধিত হইতে লাগিল এবং উহা শীঘ্রই ইউরোপীয় ও দেশীয় উভয় সমাজের ভক্তি শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইল। এই গুরুতর সমস্যাকালে ওয়ারেন্ হেষ্টিংস যে ধীরতা ও তীক্ষ্ণ মেধার সহিত কার্য্য করেন তাহাতেই এই বার সঙ্কট কাটিয়া যায়। অতঃপর তিনি সুবুদ্ধিসহকারে সার ইলাইজা ইম্পেকে সদর দেওয়ানী আদালতের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করায় সমস্ত অপ্রীতিকর গণ্ডগোল চুকিয়া গেল। এই ব্যাপার উপলক্ষ করিয়া মেকলে তীব্র সমালোচনা করিয়াছেন এবং ইম্পের চরিত্রের প্রতিও ঘৃণাসূচক শ্লেষোক্তি বর্ষণ করিয়াছেন। কিন্তু “বঙ্গদেশ রক্ষা পাইল, সৈনিক বলের সহায়তা গ্রহণ আর করিতে হইল না।” কেহ কেহ সুপ্রীম কোর্টকে কতকটা একাধারে মিলিত ইংল্যাণ্ডের কোর্ট অভ্ চ্যানসারি (Court of Chancery) ও কোর্ট অভ কিঙস্ বেঞ্চের (Court of Kings Bench) সহিত তুলনা করিয়াছেন।

 ১৮০১ অব্দে বা তৎসমকালে সুপ্রীম কোর্টের গঠনে আর ও