পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩০
কলিকাতার ইতিহাস।

কিঞ্চিৎ পরিবর্ত্তন সাধিত হইল এবং চিহ্নিত সিভিল সার্ভিস (Covenanted Civil Servece) হইতে বাছিয়া আরও দুইজন পিউনি জজ নিযুক্ত করা হইল। ইহার কিছু কাল পরে স্থিরীকৃত হইল যে, সিভিলিয়ানেরাও সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ পাইতে পারিবেন। এইরূপে উত্তরোত্তর উহার গঠনে কিছু কিছু পরিবর্ত্তন চলিতে লাগিল। অবশেষে ১৮৬২ অব্দে সুপ্রীম কোর্ট ও সদর দেওয়ানী আদালত এই দুইটি বিচারালয় একত্র মিলিত করিয়া উহাদের স্থলে বর্ত্তমান কলিকাতা হাইকোর্টের সৃষ্টি হইয়াছে। বাঙ্গালা, বিহার, উড়িষ্যা ও আসাম প্রদেশ এই হাইকোর্টের এলাকাধীন। ইহা দুই ভাগে বিভক্ত, আদিম ও আপীল। ইহার আদিম বিভাগ কতকটা পূর্ব্বতন সুপ্রীম কোর্টের এবং আপীল বিভাগ সদর দেওয়ানী আদালতের প্রতিরূপ। ইহার আদিম বিভাগে কেবলমাত্র কলিকাতা শহরের দেওয়ানী মোকদ্দমার প্রথম বিচার হইয়া থাকে। আপীল বিভাগে আদিম বিভাগের এবং মফঃস্বল আদালতের মোকদ্দমার আপলের শুনানী ও বিচার হইয়া থাকে। তদ্ভিন্ন এই বিভাগে ফৌজদারী মোকদ্দমার মোশন ও আপীলের বিচার এবং অন্যান্য কার্য্যও হইয়া থাকে। হাইকোর্টে আবার ইন্‌সলভেন্সি, এক্‌লিজিয়াষ্টিক প্রভৃতি কয়েকটি বিভাগ আছে, এবং তদ্ব্যতীত রেজিষ্ট্রার রিসিভার প্রভৃতিও কতিপয় আফিসও ইহার সহিত সংশ্লিষ্ট আছে। দেওয়ানী মোকদ্দমায় স্থলবিশেষে কলিকাতা হাইকোর্টের নিষ্পত্তির বিরুদ্ধে বিলাতের প্রিভি কাউন্সিলে আপীল হইয়া থাকে। প্রিভি কাউন্সিলের বিচারবিভাগের ভার একটি জুডিসিয়াল কমিটির হস্তে ন্যস্ত। উক্ত কাউন্সিলের প্রেসিডেণ্ট লর্ড চ্যানসেলর এবং বিলাতের