পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম অধ্যায়।
২৩১

সর্বোচ্চ শ্রেণীর আর কয়েকজন জজ লইয়া এই কমিটি গঠিত। তদ্ভিন্ন রাজা ইচ্ছা করিলে আরও দুইজন প্রিভি কাউন্সিলরকে কমিটির সদস্য নিযুক্ত করিতে পারেন। ইঁহাদের মধ্যে তিন জন সদস্য উপস্থিত হইলেই আদালতের কার্য্য চলিতে পারে এবং অধিকাংশের মতানুসারে বিচারের জয় পরাজয় হয়। জুডিসিয়ল কমিটির এই কয়েকটী ক্ষমতা আছে, যথা-১ ইচ্ছানুসারে সাক্ষীর জবানবন্দী লওয়া বা লইবার আদেশ করা, (২) পুনর্ব্বার শুনানির নিমিত্ত মোকদ্দমা অধস্তন বিচারালয়ে প্রেরণ করা, এবং (৩) এইরূপ পুনর্ব্বার শুনানীর সময় আরও সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করা, পুর্ব্বে অগ্রাহ্য করা হইয়াছে, এরূপ প্রমাণ গ্রাহ্য করা, পুর্ব্বে যাহা গ্রাহ্য করা হইয়াছে, এরূপ প্রমাণ অগ্রাহ্য করা এবং ইংল্যাণ্ডেশ্বরের অধিকারস্থ রাজ্যের যে কোনও বিচারালয়ে ইশুর বিচারের আদেশ করা। প্রিভি কাউন্সিলের বিচারের উপর আর আপীল চলে না। ১৭২৬ অব্দে যৎকালে মেয়র্স কোর্ট স্থাপিত হয়, তদবধি ভারতবর্ষের উপর প্রিভি কাউন্সিলের আধিপত্য চলিয়া আসিতেছে।

 পুর্ব্বতন কোর্ট অভ রিকোয়েষ্টস্ নামক বিচারালয়ের স্থলে ১৮৫০ অব্দে বা তৎসমকালে কলিকাতার “স্মল কজ কোর্ট” স্থাপিত হয়।

 গভর্ণর জেনারেল লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্কের শাসনকালে পুলিশের অকর্ম্মণ্যতা ও উৎকোচগ্রহণাদি দোষের কথা সকলের মুখেই বিঘোষিত হইতে লাগিল। এবিষয়ের সংস্কার-সাধন-চেষ্টা প্রথমতঃ প্রেসিডেন্সি নগরগুলিতেই হয়, তদুদ্দেশ্যে প্রথমতঃ ম্যাজিষ্ট্রেট হইতে স্বতন্ত্র কয়েকজন পুলিশ সুপারিণ্টেণ্টে এবং দেশীয় ও