পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম অধ্যায়।
২৩৫

তাহা হইলে তোমাকে একটি সোনার মোহর ঝাড়িতে হইবে, আর তিনি যদি তিন ছাত্রের একখানি পত্র লেখেন, তাহা হইলে অমনি ২৮৲ টাকা। পাছে তাহাদের হস্তে পড়িতে হয়, এই ভয়ে আমার থর থর কম্প উপস্থিত হয়; কারণ এত অধিক ব্যয়ভার বহন করিবার পর কত টাকাই বা উদ্ধার হইবে। যাহা হউক, এস্থলে বলিয়া রাখা আবশ্যক যে, আদালতের রেজেষ্টারিতে ১২ জন এটর্ণির সংখ্যা নির্দ্দিষ্ট আছে; ইহাদিগকে তিন বৎসর মাত্র আর্টিকেলড ক্লার্ক (articled clerk) থাকিতে হয়, কিন্তু ইংল্যাণ্ডে এটর্ণি হইতে হইলে পাঁচ বৎসর কাল এরূপ ক্লার্ক থাকিতে হয়। উইল প্রস্তুত করিবার ফি উহার দৈর্ঘ্যের পরিমাণানুসারে স্থিরীকৃত হইয়া থাকে। সে ফির ন্যূন পরিমাণ পাঁচ মোহর, কিন্তু উর্দ্ধ পরিমাণের নির্দ্দেশ নাই, উহা যথেচ্ছ হইতে পারে। বিবাহ সংক্রান্ত চুক্তি পত্রাদির কথা কি বলিব, তাহাতে লোককে প্রায় সর্বস্বান্ত হইতে হয়, আর আদালতের প্রসেস্ উভয় পক্ষকেই সর্বস্বান্ত করিয়া থাকে। ৺প্যারীচাদ মিত্র লিখিয়াছেন, তৎকালে এটর্ণির ক্লার্ক (উকিলের কেরাণী) হওয়া একটা বিশেষ গৌরবের বিষয় ছিল; তাহার বিদ্যাবুদ্ধি ছিল, কতকগুলি ছাঁকা ছাঁকা বাঁধি বোল, আর যখন তিনি সেই সকল বোলের ব্যবহার করিতেন, তখন লোকের হৃৎকম্প উপস্থিত হইত।

 সদর দেওয়ানী আদালত ও সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠার সহিত উকিল ও প্লীডার নামক আর এক শ্রেণীর ব্যবহারাজীব আবির্ভূত হইয়াছেন। এটর্ণিদিগের সহিত ইহাঁদের প্রভেদ এই যে, ইহাঁরা সকল আদালতেই মোকদ্দমার সওয়াল জবাব করিতে পারেন; কিন্তু এটর্নিরা তাহা পারেন না। এই উকিল ও এটর্নি সম্প্রদায়