পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৪৩

সেই সংস্কার সাধন করিয়া ভারতবাসিগণের আশীর্ব্বাদভাজন হন: এই কার্য্য তিনি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হইয়া নিজ দায়িত্বে সংসাধন করিয়াছিলেন, এ বিষয়ে মেকলে সাহেব তাঁহাকে যথেষ্ট সাহায্য করেন।

 ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দের ১৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে ভারতীয় মুদ্রাযন্ত্র স্বাধীনতা লাভ করে। সার চার্লস্ মেটকাফ প্রকৃতই “ভারতীয় মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতাদাতা” নামে অভিহিত হইয়াছেন, যে মনোভাব ও প্রবৃত্তির উত্তেজনায় তিনি এই কার্য্যে ব্রতী হন, তাহা তাঁহার নিজ উক্তিতেই প্রকাশমান। তাঁহাকে যে অভিনন্দনপত্র প্রদত্ত হয়, তদুত্তরে তিনি বলেন, “জ্ঞান বিস্তারের ফলে পরিণামে ভারতে আমাদের রাজত্বের বিলোপ হইবে, ইহাই যদি উহাদের একমাত্র যুক্তি হয়, তাহা হইলে আমি এ বিষয়ে উহাদের সহিত তর্ক করিতে চাহি না, পরন্তু এই মাত্র বলিব যে, ফলে যাহাই হউক না কেন, জ্ঞান বিস্তার করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। ভারতের অধিবাসীদিগকে অজ্ঞানান্ধ করে সমাচ্ছন্ন রাখিয়াই যদি ইহাকে বৃটিশ সাম্রাজ্যের অংশীভূত করিয়া রাখিতে হয়, তাহা হইলে আমাদের রাজত্ব এদেশের পক্ষে অমঙ্গলের কারণ হলে, সুতরাং তাহার বিলাপ হওয়াই উচিত। * * * * আমরা যে কেবল দেশের রাজস্ব সংগ্রহ করিবার ও তদ্দ্বারা এই দেশ অধিকারে রাখিবার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করিবার নিমিত্ত এবং অনটন পড়িলে ঋণ করিয়া তাহা পূরণ করিবার নিমিত্ত এখানে আছি, ইহা কখনই হইতে পারে না। নিঃসন্দেহই ইহা অপেক্ষা বহু মহত্তর উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্ত আমরা এখানে আছি। তন্মধ্যে একটী প্রধান উদ্দেশ্য এই যে, আমরা দেশের সর্ব্বত্র ইউরোপের