পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৪৭

বলেন,—“এমন কথা বলা যায় না যে, তাহার চরিত্র আচরণ সকল সময়েই এতদূর নিষ্কলঙ্ক ছিল যে, নীতিপ্রিয় হিকি তাহার সমালোচনা করিবার সুযোগ কখনই প্রাপ্ত হন নাই; নিরপেক্ষভাবে চলিতে হইলে যে সকল স্থলে প্রকাশ্য মন্তব্য প্রকাশ করাই সঙ্গত, সে সকল স্থলে হয়ত কোন কথাই বলা হয় নাই, অথবা তাহার অনুকূলেই বল হইয়াছে সমাজের সরকারী নেতাদিগের মধ্যে একমাত্র ফ্রান্সিসই কোমল ব্যবহার প্রাপ্ত হইয়াছেন।”

 আর এক স্থলে লিখিত আছে,—“সরকারী কার্য্যে বা সামাজিক হিসাবে যাঁহারা প্রসিদ্ধ, তাঁহাদের অনেককেই যেরূপ ভাবে ও যে ভাষায় আক্রমণ করা হইত, তাহাতে বিদ্বেষপূর্ণ শত্রুতার ভাবই প্রকাশ পাইত; আবার তাঁদের মধ্যে যাঁহারা সর্বপ্রধান, তাঁহাদিগকে সাধারণের নিকট নিতান্ত ঘৃণা ও অবজ্ঞার পাত্র করিয়া তোলা হইত।”

 হিকির সমালোচনার রীতি-প্রণালী সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে;—“বেঙ্গল গেজেট যাহাদিগকে সাধারণের নিকট বিদ্রূপপাত্র করিতে ইচ্ছা করিত, তাহাদিগকে করাঘাত করিবার উহার এই একটী প্রিয় প্রথা ছিল যে, উহা একটি নাটক বা প্রহসনের অভিনয়ের বা কনসার্টের বিজ্ঞাপন ঘোষণা করিত। (কারণ ঐগুলিই তৎকালে প্রচলিত আমোদ ছিল।) এবং সেই সঙ্গে উহার লক্ষ্যীভূত ব্যক্তিবর্গের এক এক জনকে অতি সামান্য ও সূক্ষ্ম আবরণে আবৃত করিয়া কে কোন্ অংশের বা চরিত্রের অভিনয় করিবে, তাহা নির্দ্দেশ করিয়া দিত।”

 পাদরি উড সাহেব বলেন;—“উহার লেখা ক্রমশঃ এরূপ জঘন্য হইয়া উঠিল যে, ১৭৮০ অব্দের ১৪ই নবেম্বর গভর্ণমেণ্ট