পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৪৯

যায় না, অথবা তাহা বিশ্বাস করিবার বিন্দুমাত্রও হেতু দৃষ্ট হয় না। পরস্পর বিসংবাদী বিধি ব্যবস্থা দ্বারা যে গুরুতর বিশৃঙ্খলাসমূহ উৎপন্ন হইয়াছিল, তৎসম্বন্ধে অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়, এবং তাহার দৃষ্টান্ত স্বরূপ ১৭৮০ অব্দের উল্লেখ করা যাইতে পারে; কিন্তু হিকির বেঙ্গল গেজেটের প্রচার দ্বারা যে গুরুতর অনিষ্ট ঘটিয়াছিল বলিয়া সারজন ম্যালকম্ অনুমান করিয়াছেন, তৎসম্বন্ধে তিনি একটিও দৃষ্টান্ত দিতে পারেন নাই। পক্ষান্তরে ইহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই যে, উক্ত সংবাদপত্রের ফাইল পরীক্ষা করিলে তৎকালে জনসাধারণের মধ্যে যে সকল বিষয়ের আলোচনা হইত, তাহাদের ভাব ও প্রকৃতি এবং যাহারা উচ্চতম পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তাহাদের চরিত্রের অনেক তথ্যই অবগত হওয়া যায়; আর ঐরূপ সংবাদপত্র পাঠ ভিন্ন তদানীন্তন কালের অবস্থার প্রকৃত জ্ঞান লাভের অন্য উপায়ও নাই।”

 বর্ত্তমান সময়ের অবস্থার সহিত তুলনা করিয়া বিচার করিয়া দেখিলে,তদানীন্তন কালের ভারতীয় মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতাসঙ্কোচক বিধি ব্যবস্থাগুলি নিতান্ত কঠোর বলিয়াই প্রতীয়মান হয়। ভারত গভর্ণমণ্টের চরিত্র ও কার্যসম্বন্ধীয় সকল বিষয়ের আলোচনাই নিষিদ্ধ ছিল। এই নিয়মের লঙ্ঘনকারী দেশীয় হইলে তাহার প্রতি অর্থ ও কারাদণ্ডের এবং বিলাতজাত ইংরেজ হইলে তাহার প্রতি নির্বাসন দণ্ডের ব্যবস্থা ছিল। তদানীন্তন কালের অবস্থানুসারে এই সমস্ত নিষেধবিধির আবশ্যকতা হইয়াছিল, অথবা তৎকালীন কর্তৃপক্ষীয়দিগের যথেচ্ছাচারিতা হইতে উহাদের উদ্ভব হইয়াছিল, একথা এখন নিশ্চয় করিয়া বলা সহজ নয়। পরন্তু ইহাই কৌতুহলের বিষয় যে, দেশীয়দিগের অপেক্ষা ইংরেজদিগের প্রতিই অধিক