পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৫১

সমালোচনার শক্তি ও উপকারিতা অনুভব করিতেন। তবে ইহা অবশ্য স্বীকার্য্য যে, তদনীন্তনকালে উচ্চপদস্থ ক্ষমতাপন্ন রাজপুরুষদিগের ক্রিয়াকলাপ প্রকাশ্যে সমালোচনা করা অতি গুরুতর ব্যাপার ছিল, এবং গভর্ণমেণ্ট যে সময়ে সময়ে সংবাদপত্র সংক্রান্ত অভিযোগ উপস্থিত করিতেন, তাহারও দৃষ্টান্তের অভাব নাই। পরন্তু ভারতীয় মুদ্রাযন্ত্র পরে যে ক্ষমতা লাভ করে, তাহা যে উত্তরোত্তর পরিপুষ্ট ও বর্দ্ধিত হইয়া আসিতেছে, সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। উদারহৃদয় গভর্ণর জেনারেল লর্ড ক্যানিং মুদ্রাযন্ত্রের মহিমা বেশ বুঝিতেন; এমন কি সিপাহী-বিদ্রোহের সেই নিদারুণ সঙ্কটকালেও তিনি তাহা বিস্মৃত হন নাই। উক্ত মহাত্মা বলিয়াছিলেন,—“মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতা দ্বারা যে ইষ্ট সাধিত হয়, তাহা এরূপ সুস্পষ্ট ও সর্ব্বজনস্বীকৃত যে, উহার অপব্যবহার দ্বারা যে অনিষ্ট উৎপন্ন হয় তদপেক্ষা ইষ্টের গুরুত্ব অধিক—অনিষ্ট ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু ইষ্ট চিরস্থায়ী।’’

 ক্রমে আরও কয়েকখানি সংবাদপত্র নগরে আবির্ভূত হইয়াছিল; “মনিটরিয়াল গেজেট” নামে একখানি সংবাদপত্র ছিল; পাদরি লঙ সাহেব বলেন,[১] ১৭৮০ অব্দে কিয়ার্ণাণ্ডার সাহেবের একটী মুদ্রাযন্ত্র ছিল। বর্ত্তমান প্রধান প্রধান ইংরেজী সংবাদপত্রগুলির পূর্ব্ব বৃত্তান্ত জানিতে পাঠকগণের কৌতুহল হইতে পারে; এজন্য পশ্চাতে তাহা প্রকাশ করা গেল;—

  1. বষ্টিড সাহেব সে কালের সংবাদপত্রের এইরূপ একটী তালিকা দিয়া ছেন:—ইণ্ডিয়ান্‌ গেজেট (নবেম্বর ১৭৮০); কলিকাতা গেজেট এণ্ড ওরিএণ্টাল এডভার্টাইজার (সম্পাদক ফ্রান্সিস গ্লাড উইন্‌ (ফেব্রুয়ারি ১৭৮৪); বেঙ্গল জর্ণাল (ফেব্রুয়ারি ১৭৮৫); ওরিএণ্টাল ম্যাগেজিন‌্ (৬ই এপ্রেল ১৭৮৫), কলিকাতা ক্রনিকল (জানুয়ারি ১৭৮৬)।