পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫৬
কলিকাতার ইতিহাস।

রূপ দণ্ড গ্রহণ করিতে হইবে।” সেন্সর (পাণ্ডুলিপিরীক্ষক) যে প্রবন্ধটি গভর্ণমেণ্টের বা সমাজের ক্ষতিকর হইতে পারে বলিয়া মনে করিতেন, তাহা তিনি কলমের আঁচড়ে কাটিয়া দিতেন। এই হেতু তৎকালে সংবাদপত্রসমুহ প্রায়ই দুই একটি কলমে কেবল তারকাচিহ্নের (*) শোভা লইয়া প্রকাশিত ইইত। লর্ড হেষ্টিংস তাহার কাউন্সিলের প্রতিবাদ সত্ত্বেও ১৮১৮ অব্দের ১৯শে আগষ্ট তারিখে কোনরূপ হেতুবাদ প্রদর্শন না করিয়া উক্ত প্রকার পাণ্ডুলিপিপরীক্ষার প্রথা রহিত করিয়া দেন। সম্পাদকদিগের নিমিত্ত তিনি কতক গুলি নিয়মও বিধিবদ্ধ করেন। ভারতবর্ষ সংক্রান্ত ইংল্যাণ্ডীয় কর্তৃপক্ষগণের বিধিব্যবস্থা ও অন্যান্য কার্যের প্রতিকূল মন্তব্য, স্থানীয় শাসনকর্তাদিগের রাজনৈতিক কার্বের আলোচনা, এবং কাউন্সিলের সদস্য, সুপ্রীম কোটের জজ, যা লড বিশপের সরকারী কার্যের বিরুদ্ধ সমালোচনা প্রকাশ করা তাঁহাদের পক্ষে নিষিদ্ধ হইল। তদ্ভিন্ন, দেশীয় প্রজাবর্গের মনে তাহাদের ধর্মবিশ্বাস বা ধর্ম্মেকর্ম্মে হস্তক্ষেপ করিবার সঙ্কল্প হইয়াছে এইরূপ আশঙ্কা বা সন্দেহ জন্মিতে পারে এরূপ ভাবের আলোচনা করা, অথবা ইংরেজী ও অন্যান্য সংবাদপত্র হইতে ঐ শ্রেণীর প্রবন্ধ সঙ্কলন করিয়া পুনঃ প্রকাশ করা, এবং যাহাতে সমাজমধ্যে বিবাদ বিসংবাদ ও অনৈক্য জন্মিতে পারে, এরূপ ভাবের ব্যক্তিগত কুৎসা বা চরিত্র সমালোচনা প্রচার করাও নিষিদ্ধ হইল। আরও বিধান হইল যে, কেহ এই সমস্ত নিয়ম সজ্জন করিলে গভর্ণমেণ্ট তাহার নামে সুপ্রীম কোর্টে মোকদ্দমা উপস্থিত করিতে পারিবেন, অথবা অপরাধীর লাইসেন্স (অনুমতিপত্র) রহিত করিয়া তাঁহাকে ইউরোপে ফিরিয়া যাইবার আদেশ করিতে পারিবেন। ফলতঃ এই সমস্ত নিয়ম এরূপ কঠোর