পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৫৭

হইয়াছিল যে, সেগুলি যথাযথভাবে প্রয়োগ করিলে সর্ব্বপ্রকার স্বাধীন সমালোচনাই একেবারে অন্তর্হিত হইত। কিন্তু সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিরা সাধারণতঃ মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করিতে একান্ত অনিচ্ছুক ছিলেন, এবং ঐ সকল নিয়ম জারি হইবার পরও তাঁহারা একবার একটি ফৌজদারি মোকদ্দমা অনুমোন করিতে অস্বীকৃত হন। লর্ড হেষ্টিংসও আপনার শাসনকালকে সংবাদপত্র-সম্পাদকের নির্বাসনরূপ কলঙ্কে কলঙ্কিত করিতে নিতান্ত অনিচ্ছুক ছিলেন। এই সমস্ত কারণে নিয়মগুলি শীঘ্রই মৃতপ্রায় অকার্যকর এবং মুদ্রাযন্ত্র কার্যতঃ স্বাধীন হইয়া পড়িল।

 ১৮৩৫ অব্দে “ফ্রেণ্ড অভ ইণ্ডিয়া” পত্রের সাপ্তাহিক সংস্করণ প্রকাশিত হইতে আরম্ভ হয়। মার্শম্যান্, ম্যাক্ ও লীচম্যান এই তিন জন উদার ব্যক্তি ইহার সম্পাদন ভার গ্রহণ করেন। এতৎসম্বন্ধে লিখিত আছে; “স্থির হয় যে, রাজনীতি অপেক্ষা এই পত্রিকা ধর্ম্মের ভাবে অধিক পরিচালিত হইবে, এবং ইহাকে ভারতের নৈতিক, সামাজিক ও আর্থিক সর্ব্ববিধ মঙ্গলসাধক বিষসমূহের আলোচনার যন্ত্রস্বরূপ করা হইবে। যৎকালে লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ক এইরূপ বিষয়সমূহের আলোচনাগুলিকে অতীব উদারভাবে উৎসাহ প্রদান করিতেছিলেন, সেই অনুকূল সময়ে ইহার জন্ম হয়। ইহার প্রথম কয়েক সংখ্যা তাঁর শাসনকাল সমাপ্ত হইবার পূর্বেই প্রকাশিত হয় তিনি যেভাবে ইহা পরিচালিত হইতেছিল, তদ্বিষয়ে আপনার সন্তোষ জ্ঞাপন করিবার সুযোগ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। যাহা নিরবচ্ছিন্ন ধর্ম্মবিষয়ক নহে, অথচ সকল বিষয়েই আলোচনা ধর্মের ভাবে করিতে প্রস্তুত, এরূপ একখানি কাগজের আবির্ভাবে সর্বশ্রেণীর মিশনারীরা আহ্লাদ প্রকাশ করিলেন এবং