পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৬১

খিলিতেন, এবং তাঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ, সংবাদপত্র-সম্পাদকব্যবসায় অবম্বন করিয়াছিলেন। কাশীপ্রসাদ ঘোষ “হিন্দু ইণ্টেলিজেন্সার” নামক পত্রের সম্পাদক বলিয়া খ্যাত ছিলেন। উহা ১৮৪০ অব্দে বা তৎসমকালে প্রচারিত হয়। কথিত আছে যে, দেশীয়দিগের পরিচালিত ইংরেজী সংবাদপত্রসমূহের মধ্যে উহাই বিশেষ প্রসিদ্ধ ছিল। কাশীপ্রসাদ গদ্য ও পদ্য উঞ্চয় প্রকাশ চনাতেই সিদ্ধহস্ত ছিলেন। তিনি কাপ্তেন ডি, এল, রিচার্ডসনের একজন প্রসিদ্ধ ও প্রিয় ছাত্র ছিলেন। রামবাগানের দত্তবংশীয় ঈশানচন্দ্র দত্ত “হিন্দু পাইওনিয়ার” পত্রের সম্পাদক ছিলেন। পরন্তু সে সময়ের দেশীয়পরিচালিত ইংরেজী সংবাদপত্রসমূহের মধ্যে উক্ত হিন্দু পাইওনিয়র প্রধান।

 হিন্দু প্রেট্রিয়ট-~-পত্রই সর্ব্বাপেক্ষা অধিক প্রতিষ্ঠালাভে সমর্থ হইয়াছিল। ইহার প্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে রামগোপাল সান্ন্যাল কত কৃষ্ণদাস পালের জীবনচরিতে লিখিত আছে যে, শ্রীনাথ ঘোষ, গিরিশচন্দ্র ঘোষ ও ক্ষেত্রচন্দ্র ঘোষ ইহার প্রথম সম্পাদক ছিলেন। বড়বাজারনিবাসী মধুসূদন রায় নামক এক ব্যক্তি এইরূপ একখানি পত্র প্রকাশের কল্পনা করেন। কালাকার স্ক্রীটে তাঁহার এক মুদ্রাযন্ত্র ছিল। সেই যন্ত্রেই হিন্দু পেট্রয়টের প্রথম সংখ্যা ১৮৫৩ অব্দে মুদ্রিত হয়। ক্রাইন্ সাহেব “রেইস এণ্ড রাইয়ত” পত্রের সম্পাদক শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জীবনবৃত্তান্তে হিন্দু পেট্রয়টের প্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন—“যে সকল সাময়িক পত্র একটি জাতির সাহিত্যিক ভাবের উন্মেষণ ঘোষণা করে, তন্মধ্যে একখানির নাম ‘বেঙ্গল রেকর্ডার', এবং তাহার চিতাভস্ম হইতে হিন্দু পেট্রিয়টের জন্ম হয়। ইহার স্বত্বাধিকারী