পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৬৩

করেন। এই সময়ে কৃষ্ণদাস পাল, কৈলাসচন্দ্র বসু এবং নবীনকৃষ্ণ বসু ইহার সম্পাদনভার গ্রহণ করিতে স্বীকৃত হইলে উক্ত প্রাতঃস্মরণীয় পণ্ডিত তাহাদের হস্তে ইহার পরিচালনভার প্রদান করেন। অবশেষে কৃষ্ণদাস পালই ইহার একমাত্র সম্পাদক হন। ১৭৬২, অকে হিন্দু সমাজের কতিপয় প্রধান ব্যক্তির অনুরোবে, কালীপ্রসন্ন সিংহ এই কাগজের পরিচালনভার মহারাজ রমানাথ ঠাকুর, রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র, মহারাজ বাহাদুর স্যার যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর ও রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ এ কযেকজন ট্রষ্টির হস্তে অর্পণ করেন। এই ট্রষ্ট সংক্রান্ত দলিল ১৮৮২ অব্দে লিখিত পঠিত হয়। এই সময়ে পেটুরিয়টের অতি সামান্য আয় ছিল; তৎকালে ইহার গ্রাহক-সংখ্য আড়াই শতের অধিক ছিল না। ১৮৬৩ অব্দে ইহার সাফল্যলাভ বিষয়ে সন্দেহ অনেক পরিমাণে অপনীত হইল। এত দিন পেট্রিয়ট প্রতি বৃহস্পতিবার প্রাতঃকালে বাহির হইত, কিন্তু এখন হইতে সোমবারে প্রকাশিত হইতে লাগিল। কৃষ্ণদাসের সময়ে ইহা সপ্তাহিক ছিল, কিন্তু এক্ষণে দৈনিক হইয়াছে। কৃষ্ণ দাস পালের রচনার রীতিপদ্ধতি প্রভৃতি সম্বন্ধে এন, এন, ঘোষ মহোদয় লিখিয়াছেন যে, হিন্দু পেট্রিয়টে তাঁহার লেখা সুমার্জিত বুদ্ধি মতের উদারতা এবং তর্কশক্তির বিলক্ষণ পরিচয় পাওয়া যাই, কিন্তু তাহাতে উচ্চ অঙ্গের লিপিকুশলতা অতি কদাচিৎ প্রকাশ পাইতে।” কুষ্ণদাস পাল বেশ সামাজিও লোক ছিলেন এবং তাঁর একটি অসাধারণ গুণ ছিল; তিনি শাসনকর্ত্তাদিগের ও তাহার স্বদেশীদিগের এই উভয় শ্রেণীরই শ্রদ্ধা-বিশ্বাস আকর্ষণ করিতে পারিতেন। তিনি দেশীয় সমাজের অনেকেরই প্রতিনিধিস্বরূপ ছিলেন। তিনি পেট্রিয়টে আপনার স্বাভাবিক মাধুর্য্য ও