পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৭৫

তাঁহারাই প্রথমে প্রবর্তিত করেন। ভোরে লালবিহারী দে লিখিয়াছেন-“ওয়ার্ড সাহেব কর্তৃক ইংল্যাণ্ড হইতে আনীত মুদ্রা- যন্ত্র স্থাপিত হইল। পঞ্চানন নামক একজন বাঙ্গালী কর্মকারের সহায়তায় এক ফাউণ্ট বাঙ্গালা অক্ষর ঢালা হইল। এই পঞ্চানন ডাক্তার উইলকিন্স সাহেবের নিকট “পঞ্চ” কাটিতে শাখিয়াছিল। ১৮০০ অব্দের ১৮ই মার্চ বাঙ্গালার ইতিহাসে একটি চিরস্মরণীয় দিন; ঐ দিন ক্যারি সাহেব ‘মথি লিখিত সুসমাচার’ নামক ধর্ম্মপুস্তকের প্রথম পৃষ্ঠা মুদ্রিত করেন। উহার শেষ পৃষ্ঠা ১৮০১ অব্দের ১০ই ফেব্রুয়ারি মুদ্রিত হয়। সমগ্র ‘নিউটেষ্টামেণ্ট ঐখানেই মুদ্রিত হইয়াছিল। অতঃপর খৃষ্টধর্ম্মসম্বন্ধীয় পুস্থিক সকল ঘন ঘন ছাপা হইতে লাগিল। এই মিশনের ব্যনির্বাহার্থ মার্শম্যান সাহেব ও তদীয় পত্নীর অধীনে একটি বোর্ডিং স্কুল স্থাপন করা হইল।” ইংরেজ গভর্ণমেণ্ট মিশনারিদিগকে কলি- কাতায় বাস করিতে না দেওয়ায় মার্শম্যান, ওয়ার্ড, গ্র্যাণ্ট ও ব্রা- সন্ শ্রীরামপুরে বাস করিতে বাধ্য হইলেন। তাঁহাদের কলিকাতায় বাসের অনুমতি লাভের নিমিত্ত ক্যারি সাহেব প্রাণপণে চেষ্ট করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহাতে কোন ফলোদয় হয় নাই। দিনে- মারেরা তাহাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করেন। একটি যথোপযুক্ত গৃহ ক্রয় কষিয়া মিশনারিরা তাহাতে বাস করিতে লাগিলেন, এবং কিছুদিন পরে কারি সাহেবও আসিয়া তাহাদের সহিত বোগ দিলেন। ইউরোপীয়দিগের মধ্যে ডাক্তার ক্যারিই প্রথমে বাঙ্গালা শিক্ষা করেন এবং ঐ ভাষায় একটা বক্তৃতা করেন। ইহাতে তদানীন্তন গভর্ণর জেনারেল হাৰ যথেষ্ট প্রশংসা করিয়াছিলেন। সমাচার-দর্পণ আবির্ভূত হইবার কয়েক মাস পুর্বে মার্শম্যান ও