পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮৬
কলিকাতার ইতিহাস।

হেতু বহুসংখ্যক শিক্ষিত লোক ইহার সহিত যোগদান করেন। এই সময়ে সুপ্রসিদ্ধ পণ্ডিত শ্রীযুক্ত শশধর তর্কচূড়ামণি এমন ভাবে হিন্দুধর্মের প্রচার ও ব্যাখ্যা করিতে লাগিলেন যে, তাঁহার ভক্তগণ তাঁঁহাকে বৈজ্ঞানিক আখ্যা প্রদান করিলেন, এই সেই সমস্ত ব্যাখ্যা বঙ্গবাসীতে প্রকাশিত হইতে লাগিল। শ্রীকৃষ্ণপ্রসন্ন সেন ওরফে কৃষ্ণনন্দ স্বামীও কিছু দিন ইহাতে লিখিয়াছিলেন। এইরূপে দিন দিন বঙ্গবাসীর প্রসার বৃদ্ধি হইতে লাগিল। বাঙ্গালায় যাহা কখনও হয় নাই, তাহাই হইল,—সুদূর পল্লীগ্রামবাসীরা, অশিক্ষিত দোকানদারেরা এমন কি মফঃস্বলে ফেরিওয়ালারা পর্যন্ত বঙ্গবাসী পাঠ করিতে বা উহার পাঠ শ্রবণ করিতে লাগিল। হিন্দুধর্ম্মের বর্ত্তমান ভাব এই অভিনব প্রণালীর প্রচারে যেন নববলে বলীয়ান্ হইয়া উঠিল। এই সময়ে বঙ্গবাসী “ইণ্ডিয়ান ন্যাশন্যাল কংগ্রেস্” নামক সভার কোন কোন কার্য্য ও প্রণালীর দোষোদঘাটন করিয়া এবং উহার অমিতব্যয়িতার উল্লেখ করিয়া উহার বিরুদ্ধে প্রবন্ধ প্রকাশ করিতে লাগিল। ইহাতে অপর পক্ষীয়েরা বঙ্গবাসীর প্রতি বিরূপ হইলেন এবং এমন একখানি কাগজের অভাব অনুভব করিতে লাগিলেন যাহা রাজনৈতিক বিষয়ে বঙ্গবাসীর বিপরীত মতাবলম্বী হইবে।

 হিতবাদী-ঐরূপ একখানি সংবাদপত্র প্রকাশ করিবার উদ্দেশ্যে একটি জয়েণ্ট ষ্টক কোম্পানির সৃষ্টি হইল, এবং তাঁহাদের যত্নে “হিতবাদী” প্রচারিত হইল: সুপ্রসিদ্ধ সংস্কৃত পণ্ডিত কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ইহার সম্পাদক হইলেন। শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ খ্যাতনামা লেখকগণ ইহার নিয়মিত লেখক ও পৃষ্ঠপোষক হইলেন। কিন্তু এই কারবার লাভবান না হওয়ায় কিছু দিন পরে